দৌড়ানী খেয়ে আর ফিরেননি কাশেমী...

না.গঞ্জ-৪ আসনে এবার ধানের শীষ চাইবেন ফেরদাউস!

82
না.গঞ্জ-৪ আসনে এবার ধানের শীষ চাইবেন ফেরদাউস!

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জে ইসলামী ঐক্যজোট ও হেফাজতে ইসলাম’র অতি পরিচিত মুখ মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের সাথে মহানগর হেফাজতে ইসলামী’র সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী এ নেতার রয়েছে বেশ সখ্যতা। অনেকে আবার তাকে শামীম ওসমান অনুসারী একজন ইসলামী দলের নেতা হিসাবেই আখ্যায়িত করে।

তবে, এবার সেই শামীম ওসমানের আসনেই নির্বাচন করতে চান মাওলানা ফেরদাউস এমন দাবী তার অনুসারীদের। তাদের মতে, শুধু নির্বাচন নয়, কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান ফেরদাউস। আর তাই শামীম ওসমানকে টক্কর দিতে ধানের শীষ প্রতীক চাইবেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। অস্বীকার করলেন না ফেরদাউস নিজেও। বললেন নির্বাচন তো অনেক দূর, আমার দল আছে, দল যে সিদ্ধান্ত নিবে সময় হলে তা বলা যাবে।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক সচেতন মহলের মতে, এই ফেরদাউসুর রহমান বরারবরই সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেন। বিভিন্ন সময় তাকে শামীম ওসমানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেখা গেছে। বিগত দিনে বার বার তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন বলে আইভী সমর্থক নেতাদের অভিযোগ।

এই ফেরদৌসুর রহমান এবার নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতিক চাইবেন বলে জানা গেছে। সূত্রমতে জানা গেছে বিগত নির্বাচনে ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় নেতা মনির হোসেন কাশেমী ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু একদিকে যেমন বিএনপির নেতাকর্মীরা তার পক্ষ্যে মাঠে নামেননি, অপরদিকে তেমনি শামীম ওসমান অনুসারীদের দাবরানী খেয়ে মাঠ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন এই কাশেমী। মূলত বিগত নির্বাচনে মাঠ ছেড়ে পালানোর পর আর ফতুল্লায় আসেননি কাশেমী। তাই আগামী নির্বাচনে আর কাশেমী ধানের শীষ প্রতিক চাইবেন না। ফলে এই সুযোগ নিতে চাইছেন ফেরদাউস। তিনিই চাইবেন ধানের শীষ প্রতিক এমন জোরালো গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জের একাধিক রাজনৈতিক সূত্র জানিয়েছে ফেরদাউসকে এবার মাঠে নামিয়েছেন সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। বর্তমান এমপি শামীম ওসমান মনে করেন, আগামী নির্বাচনেও তিনি পাবেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। আর সেই ক্ষেত্রে তার প্রতিদ্বন্দ্বী যদি হন কাশেমী বা ফেরদাউস টাইপ কোনো নেতা তাহলে প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায়ই জয়ী হবেন তিনি। এখানে যদি গিয়াস উদ্দিন বা শাহআলমের মতো কেউ বিএনপির মনোনয়ন পান তাহলে শামীম ওসমান বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন।

কেননা এমনিতেই দ্রব্যমূল্য সহ নানা কারনে সরকারের জনপ্রিয়তা এখন একেবারে তলানীতে দাবী বিএনপি নেতাকর্মীদের। তার উপর যদি গিয়াস উদ্দিন বা শাহ আলমের মতো প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন তাহলে শামীম ওসমানের জয়ী হওয়া বেশ কঠিন হবে। তাই শামীম ওসমান চাইছেন এই আসনে যাতে ধানের শীষের প্রার্থী দূর্বল হয়। ফলে সেই প্রচেষ্টাটাই করছেন ফেরদাউসুর রহমান।
এ বিষয়ে মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান বলেন, নির্বাচন তো ভাই অনেক দুর। আমার দল আছে, দলীয় সিদ্ধান্ত আছে, দল যে সিদ্ধান্ত নিবে তা সময় হলেই বলা যাবে।