কাশীপুরে ঝুট নিয়ন্ত্রণে নিতে আ’লীগের দুই গ্রুপ আবারও মুখোমুখি

178
কাশীপুরে ঝুট নিয়ন্ত্রণে নিতে আ’লীগের দুই গ্রুপ আবারও মুখোমুখি নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ: ফতুল্লার কাশীপুরে একটি রপ্তানীমুখি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণে নিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ আবারও মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। কাশীপুর হাটখোলা এলাকার ক্রোনী গ্রুপের ওই প্রতিষ্ঠানটির ঝুট নিয়ে এর আগেও একদফায় দুই গ্রুপ বিবাদে নামে। ঘটনাটি মামলা মোকদ্দমায় গিয়ে ঠেকে। গত কয়েকদিন ধরে আবারও একই পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ: ফতুল্লার কাশীপুরে একটি রপ্তানীমুখি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রণে নিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ আবারও মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। কাশীপুর হাটখোলা এলাকার ক্রোনী গ্রুপের ওই প্রতিষ্ঠানটির ঝুট নিয়ে এর আগেও একদফায় দুই গ্রুপ বিবাদে নামে। ঘটনাটি মামলা মোকদ্দমায় গিয়ে ঠেকে। গত কয়েকদিন ধরে আবারও একই পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, কাশীপুর ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতারা হাটখোলায় অবস্থিত ক্রোনী গ্রুপের ওই গার্মেন্টেসের ঝুট নামাতো। কিন্তু হিসাবে গড়মিলকে কেন্দ্র করে যুবলীগের সভাপতি রতন দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক রনির মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। রনি আবার একসময় বিএনপি করা তার ভাই আরিফকে এ ব্যবসায় ঢুকানো নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। একসময় আওয়ামী লীগের নেতারা প্রতিবাদী হয়ে উঠেন। কিন্তু রনি এসব পাত্তা না দিয়ে নিজেই মাল নামাতে শুরু করে। বিষয়টি তখন কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। তিনি নিজেদের মধ্যে একটি সমঝোতা করে দেন। তবে এরই মধ্যে রনি সে সমঝোতা না মেনে মাল নামানোর চেষ্টা করে। এসময় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের গ্রুপটি তাতে বাধা দেয়। রনি পুলিশকে ব্যবহার করে যুবলীগের তিনজন কর্মীকে মিথ্যা অভিযোগে ধরিয়ে দেয়। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নাখোশ হন খোদ চেয়ারম্যান সাইফ উল্লাহ বাদলও। কিন্তু তবুও রনি নাছোরবান্দা। কোনমতেই সে ঝুটের নিয়ন্ত্রণ ছাড়বে না। সে দাবি করে কোম্পানীর সঙ্গে তার চুক্তি রয়েছে। সাইফ উল্লাহ বাদলের নির্দেশ না মানার কারণে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হন। সবাই বিষয়টি নিয়ে আবারও চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হন। চেয়ারম্যান বাদল বিষয়টি নিয়ে সরাসরি ক্রোনীর মালিক আসলাম সানীর সঙ্গে কথা বলেন। সানী চেয়ারম্যান বাদলকে সমঝোতার দায়িত্ব দিয়ে বলেন, আপনি যেভাবে মীমাংসা করে দিবেন, তাই হবে। এরপরও রনি কাউকে মালের হিসেব দিচ্ছে না। কেউ এগিয়ে গেলে তাদেরকে আগের মতো ডিবি পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখাচ্ছে।

এ বিষয়ে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রতন দেওয়ান জানান, দলের পরিচয়ে ব্যবসাটি কৌশলে সে এখন নিজের বলে দাবি করছে। ব্যবসাটি আত্মসাতের প্রতিবাদ করায় সে পুলিশ দিয়ে আমাদের কর্মীদের ধরিয়ে দিয়েছে। আমাদের নেতা চেয়ারম্যান সাহেব বিষয়টি সমঝোতা করে দিয়েছেন। কিন্তু রনি তা মানছে না।

তবে ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রনি বলেন, আমার সঙ্গে কোম্পানীর চুক্তি রয়েছে। আমি চুক্তি মেনে মাল নামাই।
তবে আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, দলের পরিচয়ে ক্রোনী গ্রুপের মাল নামানোর তদারকির জন্য রনিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এখন সে নিজের নামে চুক্তির কথা বলছে। দল ক্ষমতায় না থাকলে সে ত ক্রোনীর সামনেই যেতে পারতো না। নেতাকর্মীদের হক মেরে সে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। এমনকি সে বড় বড় নেতাদেরও পাত্তা দেয় না। যে কোন সময় এ নিয়ে সংঘর্ষ হতে পারে বলে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদল জানান, শুধু আমি না, এলাকার গণমান্যরাও ক্রোনীর গ্রুপের মালিক আসলাম সানীকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে। যেহেতেু বিষয়টি নিজেদের মধ্যে আশা করি তা সমাধান হয়ে যাবে।