সব দলের অংশগ্রহনে নির্বাচন হলে...

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থী চারজন

184
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থী চারজন

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন চাইতে পারেন চারজন। এরা হলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. আবুল কালাম, সহ-সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল এবং মহানগর যুবদলের সাবেক সেক্রেটারী মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।

এই চার নেতার মাঝে এডভোকেট আবুল কালাম বরাবরই একজন জনপ্রিয় নেতা। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন এলাকায় তার পিতার আমল থেকে তার একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। তাই নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয় তাহলে তাকে হারানো মোটেও সহজ হবে না। তাই এখনো এই আসনে বিএনপির প্রথম মনোনয়ন প্রত্যাশি আবুল কালাম। আর তিনি যদি সুস্থ থাকেন তাহলে তিনিই পাবেন এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন এমনটাই দাবি কালাম অনুসারীদের।

তবে এবার আবুল কালামের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি এর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র আইভীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে বিপুল ভোট পেয়েছেন। তাই ধানের শীষ প্রতীক পেলে তিনিও বিএনপির একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে আবির্ভূত হবেন এবং নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জয়ী হবেন বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ মানুষ।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের আওতাধীন বন্দরের রাজনীতিতে আতাউর রহমান মুকুল একজন জনপ্রিয় নেতা। জানা গেছে আগামী নির্বাচনে তিনিও বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন। মনোনয়ন পেলে তিনিও জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে তুলবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।

অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদও একজন জনপ্রিয় নেতা। যদিও নাসিক নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে তার ভাই এড. তৈমুর আলম খন্দকার নির্বাচন করে রাজনৈতিক গ্যারাকলে পড়েছেন।

তবে আগামী নির্বাচনের আরো বাকী রয়েছে দেড় বছর। আর এই দেড় বছরে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় বলা যায় না। এড. তৈমুর আলম খন্দকার আর মাকসুদুল আলম খন্দকার আবারও বিএনপির রাজনীতিতে ফিরে যাবেন বলেই মনে করে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক মহল। তাই আগামী নির্বাচনে বিএনপি যদি অংশ নেয় তাহলে এদের মাঝে মনোনয়ন নিয়ে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে বলেই সকলের ধারনা।