তিনি মাঠে নামার পর বদলে গেছে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক চিত্র...

গিয়াস উদ্দিনের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে

245
রূপগঞ্জে বিএনপির সম্মেলনে হামলা : গিয়াসউদ্দিনের প্রতিবাদ ও নিন্দা

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের রাজনীতিতে সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিনের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। রাষ্ট্র ক্ষমতা থেকে চলে যাবার পর বিগত পনেরো বছর ধরে সাবেক এই এমপি বিএনপি করার কারনে নানা ভাবে হয়রানী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন তিনি।

বিনা অপরাধে অন্তত তিন বছর জেল খেটেছেন নারায়ণগঞ্জের এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তার সন্তানরাও। কিন্তু এতো কিছুর পরেও তিনি মাঠ ছাড়েননি। শামীম ওসমানের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি তিনি। এমন কি নিজের বাড়িঘরও ছাড়েননি নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ মানুষের প্রিয় এই নেতা।

বরং বরাবরই তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন এলাকার জনগনের খোঁজ খবর রেখেছেন। সেই গিয়াস উদ্দিন এখন আগামী দিনের নির্বাচন আর আন্দোলনকে সামনে রেখে মাঠে নেমেছেন। এবার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীকে সামনে রেখে টানা তিনদিন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দলকে চাঙ্গা করেছেন মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে গিয়াস উদ্দিন বরাবরই তুমুল জনপ্রিয়। তাই তার প্রতিপক্ষ্য এখন তার বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচারে মেতে উঠেছে।

ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান সংসদ একেএম শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন এই গিয়াস উদ্দিন। কারন একবার তিনি শামীম ওসমানকে বিপুল ভোটে হারিয়েছিলেন। এরপর শামীম ওসমান দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাই গিয়াস উদ্দিন এখন জোরালো ভাবে মাঠে নামায় শামীম ওসমানের বুকে কাপন শুরু হয়েছে বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের অধিকাংশ সাধারন মানুষ।

কারন এবার যদি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় আর গিয়াস উদ্দিন যদি হন বিএনপির প্রার্থী তাহলে এবার আগের চেয়েও জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বীতার মুখে পড়ার পাশাপাশি ভয়াবহ রুপে ভরাডুবি ঘটবে শামীম ওসমানের। তাই শামীম ওসমান আগে ভাগেই তার অনুগতদের দিয়ে গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারে মেতে আছেন।

গিয়াস অনুসারীরা মনে করে, এসব করে এবার কোনো লাভ হবে না। গিয়াস উদ্দিন মাঠে নামার পর এরই মাঝে বদলে গেছে চিত্র। সারা নারায়ণগঞ্জ জেলায়ই বিএনপির নেতাকর্মীরা বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন।

এ ব্যাপারে কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মঈনুল হোসেন রতন বলেন, গিয়াস উদ্দিন যখন এমপি ছিলেন তখন ফতুল্লায় তিনি ব্যাপক উন্নয়ন করে রেখে গেছেন। বক্তাবলী ইউনিয়নে তিনি তখন ত্রিশটি ব্রিজ কালভার্ট করে রেখে গেছেন। বক্তাবলী খেয়াঘাটে যেতে কাশীপুর ব্রিজটি তিনিই নির্মান করে রেখে গেছেন।

এছাড়া তিনি যতো দিন এমপি ছিলেন ততোদিন ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জে কোনো জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু শামীম ওসমান এমপি হওয়ার পর বিগত পাঁচ বছর ধরেই ফতুল্লার উন্নয়নে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষাকালে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। দিনে দিনে পরিস্থিতি এমন হচ্ছে যে ফতুল্লা এলাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। তাই মানুষ এখন বিনা ভোটের এমপি শামীম ওসমানের হাত থেকে মুক্তি চাইছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ফতুল্লাবাসী এখন সাবেক এমপি আলহাজ্ব মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে আবারও এমপি হিসাবে দেখতে চাইছেন। তাই গিয়াস উদ্দিন আবার মাঠে নামার পর একেবারে বদলে গেছে মাঠের চিত্র। চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। ফলে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে রয়েছেন।