জিয়াউর রহমান কুখ্যাত প্রেসিডেন্ট ছিলেন – জাহাঙ্গীর আলম

310
বক্তব্য রাখছেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু কণ্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের পথে এগোচ্ছি। দেশে আজ আর কেউ না খেয়ে থাকেনা। এ সবই সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্য। তিনি সেদিন দেশে না আসলে এতো উন্নয়ন কখনোই সম্ভব হতো না।

বঙ্গবন্ধু কণ্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে জেলা ও মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে র‌্যালি, আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর ২ নং রেল গেটস্থ জেলা-মহানগর আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে দোয়া-মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়, পরে দুস্থ:দের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

জাহাঙ্গীর বলেন, জিয়াউর রহমান কুখ্যাত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সেদিন (৮১’ সালের ১৭ মে) জিয়াউর রহমান শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু শত বাধা উপেক্ষা করে দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন। তাকে সেদিন ধানমন্ডির ৩২ নাম্বারে ঢুকতে দেয়া হয়নি। তিনি ৩২ নাম্বারের বাইরে নামাজ পড়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন। আমরা কখনো চিন্তাও করি নাই যে, দেশে এতো বড় বড় সেতু, সড়ক-মহাসড়ক হবে। বিদেশের মতো মেট্রোরেল-পাতাল ট্রেন হবে, কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সকল স্বপ্ন আজ বাস্তবায়নের পথে।

বক্তব্য রাখছেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান যখন তোলারাম কলেজে এসেছিলেন, আমি সেদিন জিয়াউর রহমানের দাড়ি আটকে রেখে দুটি দাবি আদায় করে নিয়েছিলাম। তাকে বলেছিলাম, গাড়ি থেকে নেমে কথা বলতে হবে, তা না হলে আপনি যেতে পারবেন না। তিনি বাধ্য হয়ে গাড়ি থেকে নেমে আমাদের সাথে কথা বলে। দাবি দুটির একটি ছিলো তোলারাম কলেজকে সরকারী ঘোষণা করতে হবে। আরেকটি হলো তৎকালীণ নারায়ণগঞ্জ মহকুমাকে নারায়ণগঞ্জকে জেলা ঘোষণা করতে হবে। আমাদের দাবি শুনে তা মানতে বাধ্য হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।

সেদিনের ইতিহাস নিয়ে অনেকেই মিথ্যাচার করেন দাবি করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সেদিন অনেকেই বাইরে বের হননি। কেননা জিয়াউর রহমান ছিলো জাদরেল প্রেসিডেন্ট। দিপু (এড. আনিসুর রহমান দিপু) এখানে বসা আছে, তাকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন। বাইরে বের হলে জিয়াউর রহমান এরেস্ট করতে পারে, ব্রাশ ফায়ার করতে পারে এ ভয়ে অনেকে সেদিন বাইরে বের হয়ে আসে নাই। তবে, আজকে অনেকে বড় বড় কথা বলেন, মিথ্যা কথা বলেন। আমরা এমপি বা চেয়ারম্যান হতে পারি নাই, তাই আমাদের কথা কেউ শুনে না। আপনি অনেক মিথ্যা কথা বলেন, এটা এখন সবাই জানে। যাই হোক আপনি ভালো থাকেন, কেননা আপনিও আমাদের আওয়ামীলীগেরই একজন।

এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদের সাবেক সদস্য এড. আনিসুর রহমান দিপু। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কায়কোবাদ রুবেলসহ জেলা-মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীবৃন্দ।