দেড় বছর বাকি, তবুও নির্বাচমুখী দেশের রাজনীতি

180
দেড় বছর বাকি, তবুও নির্বাচমুখী দেশের রাজনীতি নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ: কিভাবে হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন? দেড় বছর আগেই এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলি। এই নির্বাচন কি আগের নির্বাচনের মতো একতরফা হবে নাকি দিনের ভোট রাতে হবে এ নিয়ে জনগনের মাঝে জল্পনা কল্পনার কোনো শেষ নেই। বিগত তিনটি নির্বাচনে জনগনের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। তাই এবারের নির্বাচনে কি হবে পরিস্থিতি সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে একমাত্র জাতীয় পার্টি ছাড়া বাকী সব দল এক প্লাটফর্মে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ: কিভাবে হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন? দেড় বছর আগেই এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলি। এই নির্বাচন কি আগের নির্বাচনের মতো একতরফা হবে নাকি দিনের ভোট রাতে হবে এ নিয়ে জনগনের মাঝে জল্পনা কল্পনার কোনো শেষ নেই।

বিগত তিনটি নির্বাচনে জনগনের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। তাই এবারের নির্বাচনে কি হবে পরিস্থিতি সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে একমাত্র জাতীয় পার্টি ছাড়া বাকী সব দল এক প্লাটফর্মে আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দেশের বিরোধী দলগুলির মতে বিগত তিনটি নির্বাচন ধরে দেশের জনগনের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারছে না। তাদের মতে গোটা দক্ষিন এশিয়ায় একমাত্র বাংলাদেশের মানুষের কোনো ভোটের অধিকার নেই। তারা আরো মনে করেন সরকার র‌্যাব পুলিশ সেনাবাহীনীকে এমন ভাবে কব্জা করেছে যে এদের সহায়তায়ই বিগত এক যুগের বেশি সময় ধরে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। তাই আগামী নির্বাচনে সরকার যাতে এমনটি করতে না পারে এর জন্য সব বিরোধী দল এক হয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছে।

এদিকে দেশে সরকার উন্নয়নের দাবি করলেও বাস্তবে সাধারন মানুষের নুন আনতে পান্তা ফুরায়। দেশের অর্ধেক মানুষ এখন খাদ্য সংকটে ভুগছেন বলে মনে করেন বিরোধী দলগুলি। রাস্তাঘাটে ভিক্ষুকের সংখ্যা আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেড়ে গেছে। ঘর থেকে বের হলেই হাত পাতছে বহু মানুষ। একেক সময় একেকটি পন্য নিয়ে চলছে তেলেমাতি কারবার। বিএনপি সময়ের চল্লিশ টাকা লিটারের সয়াবিন তেল এখন দুইশ টাকা লিটার। তাও বাজারে ঠিক মতো পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ টাকার চাল কিনতে হচ্ছে ষাইট টাকা দিয়ে। নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপন্য কিনতে এখন হিমসিম খাচ্ছে সাধারন মানুষ। তাহলে সাধারন মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হলে কি করে? বাস্তবে উন্নত রাস্ট্রেতো তাকে বলে যে দেশের মানুষ একশো টাকা উপার্জন করে সত্তুর টাকা খরচ করে আরো ত্রিশ টাকা সঞ্চয় করে। এ দেশের মানুষের সঞ্চয় কোথায়? বরং যদো দিন যাচ্ছে ততোই ঋনের বোজায় জর্জরিত হচ্ছে রাস্ট্র। বিদেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা ঋন করা হচ্ছে। তাই এক সময় এই ঋন পরিশোধ করতে গিয়ে বাংলাদেশও শৃলংকার মতো দেউলিয়া হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এখনই এ দেশ অনেকটা সেই পথে হাটছে বলে মনে করেন বিভিন্ন পর্যায়ের সচেতন মহল।

এরই মাঝে দেশের গণমাধ্যমগুলিতে সরকারকে সতর্ক এ বিষয়ে বিশেষ প্রতিবেদনও প্রকাশ হচ্ছে। ফলে সব কিছু মিলিয়ে ব্যার্থতার পথেই হাটছে সরকার। কারন রাস্তাঘাটের উন্নয়ন মানেই উন্নয়ন নয়। এর আগে শৃলংকা তাদের দেশে উরোপের মতোই অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে। কিন্তু এখন তারা না খেয়ে থাকছে। তাই বিরোধী দলগুলি মনে করে বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়নের নামে লুটপাট চালিয়ে দেশকে শ্রীলংকা আর পাকিস্তানের মতোই দেউলিয়াত্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। একটি অনির্বাচিত অবৈধ সরকার দেশকে এরই মাঝে অনেকখানি ঋনের ভারে জর্জরিত করে ফেলেছে। তাই এ দেশকে বাঁচাতে একটি অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। কারন নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত না হলে কখনোই দূর্ণীতি লুটপাট বন্ধ হয় না। কারন মানুষ ভোট দিতে পারলে কোনো খারাপ মানুষকে নির্বাচিত করেন না। তাই এই দেশে নির্বাচিত সকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে সব দল মিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে একপি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন আদায় করার কোনো বিকল্প নেই।