ফতুল্লা থানা বিএনপির রাজনীতি কোন পথে ......

কিভাবে দল পূনর্গঠন করবেন দুই মেরুর দুই নেতা?

223
ফতুল্লা বিএনপির রাজনীতি এখন কোনপথে ?

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

দলীয় অভ্যন্তরিন কোন্দলের কারনে সাংগঠনিক ভাবে একেবারে দূর্বল হয়ে পড়েছে ফতুল্লা থানা বিএনপি। এক সময় এই থানায় শতকরা আশি শতাংশ জনসমর্থন ছিলো বিএনপির এবং এখানে আওয়ামী লীগের তেমন কোনো আস্তিত্বই ছিলো না বলে দাবি প্রবীন রাজনীতিবীদদের।

কিন্তু এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টো। বর্তমানে ফতুল্লায় আওয়ামী লীগ বেশ শক্তিশালী। এমতাবস্থায় ফতুল্লা থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটির আহবায়ক এবং সদস্য সচিব ফতুল্লার স্থানীয় রাজনীতিতে দুই মেরুর বাসিন্দা। অনেক আগে থেকেই আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল এবং সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম টিটু বিএনপিরই ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপের রাজনীতিতে সক্রিয়।

এক সময় জাহিদ হাসান রোজেল ফতুল্লার তৎকালিন কিংমেকার হিসাবে পরিচিত মোহাম্মদ আলীর অনুগত এবং সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের বিরোধী হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। যদিও তার বড় ভাই যুবদল নেতা নাদিম হাসান মিঠু ছিলেন গিয়াস উদ্দিনের অনুগত। পূর্বের ধারাবাহিকতায় বজায় রেখে রোজেল এখনো গিয়াস উদ্দিনের বিরোধীতা করে চলেছেন। তবে এখন আর তিনি মোহাম্মদ আলীর অনুগত নন, এখন তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগী নেতা আলহাজ¦ মোহাম্মদ শাহ আলমের অনুগত বলে জানা গেছে। মূলত শাহ আলমের অনুগত হওয়ার কারণেই এবার তিনি আহবায়ক পদটি বাগিয়ে আনতে পেরেছেন।

অপরদিকে জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম টিটু বরারবরই ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক মনিরুল আলম সেন্টুর অনুগত। এই সেন্টু এক সময় থানা যুবদলের সভাপতি এবং থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। তবে সেন্টুকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। তবে সেন্টুর সাথে টিটুর ব্যাক্তিগত সম্পর্ক এখনো অটুট রয়েছে, যা সম্প্রতি সবারই চোখে পড়েছে।

এছাড়া, সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের অনুগতরা শহীদুল ইসলাম টিটুকে এখন থানা বিএনপির নেতৃত্বে সমর্থন করছেন। টিটুও তাদেরকে দলের বিভিন্ন পদে পদায়নের ব্যাপারে আশ^স্ত করেছেন বলে জানা গেছে। আর এ কারনে টিটু এখন রোজেলের চেয়েও শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বলে ধারনা করছেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

কেননা দল থেকে এতোদিন যাদেরকে মাইনাস করার চেষ্টা করা হয়েছে তাদের দাবি, টিটু অন্তত মাইনাসের রাজনীতি করবে না। তাছাড়া, ফতুল্লায় এই মুহুর্তে গিয়াসপন্থীরা রয়েছেন শক্তিশালী অবস্থানে। আর এই গ্রুপের নেতারাই অতীতে এই দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন বলে জানা গেছে।

তাই অনেকে মনে করেন, জাহিদ হাসান রোজেল চাইবেন এদেরকে দল থেকে মাইনাস করতে আর টিটু চাইবেন সবাইকে নিয়ে কমিটি করতে এবং দলকে শক্তিশালী করতে। তাই আগামী দিনগুলিতে মাইনাসের রাজনীতি নাকি প্লাসের রাজনীতি সফল হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।