প্রতিপক্ষকে ‘দালাল’ আখ্যা...

ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন: মাহবুবুর রহমানের সমর্থনে রাজপথে জনতার ঢল

292

‘শামীম ওসমানের দালালরা হুঁশিয়ার!’ ‘ষড়যন্ত্রকারীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও!’—এ ধরনের শ্লোগানে শনিবার প্রকম্পিত ছিল নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বর। রূপগঞ্জে ব্যবসায়ী মামুন হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পরীক্ষিত আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান মাহবুবের বিরুদ্ধে চালানো ‘মিথ্যা অপপ্রচারে’র প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে জনতার ঢল নামে।

বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত জায়েদুল ইসলামকে মাহবুবুর রহমানের ‘ভাতিজা’ বলে চালানো অপপ্রচারকে তীব্র ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেন। তারা বলেন, “মাহবুব ভাই কোনো অপরাধী বা ষড়যন্ত্রকারীকে আশ্রয় দেন না। জায়েদুলের সঙ্গে তার কোনো পারিবারিক সম্পর্ক নেই। যারা একজন অপরাধীর পরিচয় দিয়ে নেতার গায়ে কালিমা লেপনের চেষ্টা করছে, তারাই বিএনপির ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগের দালাল।”

বক্তারা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলামকে ‘বেইমান’ ও ‘মীরজাফর’ আখ্যা দিয়ে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা রাসেল মাহমুদ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “আন্দোলনের সময় যে ব্যক্তি মাঠে ছিল না, ৫ আগস্টের পর সেই নব্য বিএনপি সেজে রূপগঞ্জে লুটপাট করছে। এই দালালদের আশ্রয়দাতাদেরও আমরা ছাড় দেব না।”

সমাবেশে মাহবুবুর রহমানের অনুসারীরা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, “মাহবুবুর রহমান উড়ে এসে জুড়ে বসা নেতা নন। তিনি রাজপথের লড়াকু সৈনিক। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কেউ টিকতে পারবে না। যারা আজ ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছেন, তারাই একসময় গডফাদার শামীম ওসমানকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন। তাদের মুখোশ আজ উন্মোচিত।”

নেতাকর্মীরা কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যারা ত্যাগী নেতার বিরুদ্ধে কথা বলবে, তাদের পিঠের চামড়া থাকবে না। আমরা রাজপথেই সব ষড়যন্ত্রের জবাব দেব।”

প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হওয়া বিশাল বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে, যা মাহবুবুর রহমানের প্রতি নেতাকর্মীদের অবিচল আস্থা এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে একটি সুস্পষ্ট সতর্কবার্তা হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।