১৪ মাসেও হয়নি ইউনিয়ন-ওয়ার্ড কমিটি, সাংগঠনিকভাবে পিছিয়ে ফতুল্লা আ:লীগ

215

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সম্মেলনের ২৭ মাস এবং পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ১৪ মাস অতিবাহিত হলেও থানাধীন বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের কোনো নাম নেই। আদৌ কি এসব কমিটি গঠিত হবে নাকি এভাবেই পদবঞ্চিত থাকবে তৃণমূলের ত্যাগী ও পদ-প্রত্যাশী নেতাকর্মীরা এমন প্রশ্নই এখন সর্বত্র।

তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করে, থানা কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন, তাদের কোনো আগ্রহ নেই ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড কমিটিগুলো করার ব্যাপারে। ফলে বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড কমিটির নেতারা ভূগছেন চরম হতাশায়।

জানা গেছে, দু/একটি ইউনিয়নের কিছু ওয়ার্ডে কমিটি করা হলেও বাকী রয়ে গেছে অধিকাংশ ওয়ার্ড এবং পাঁচটি ইউনিয়ন কমিটি। এতোদিন করোনার অজুহাত দেখিয়ে বলা হচ্ছিল করোনার কারনে কমিটি করা যাবে না।

এছাড়া মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যেও করা হয়নি কোনো ইউনিয়ন কমিটি। কিন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এখনতো করোনা প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে, আবার মুজিব বর্ষও নেই। তারপরেও কেনো এভাবে কমিটিগুলি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে কেউ বলতে পারছেন না।

তাই পদবঞ্চিত বেশ কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, আসলে সাইফ উল্লাহ বাদল এবং শওকত আলী পদ পেয়ে যাবার পর তারা চাননা অন্য কেউ আর কোনো পদে আসুক। যদি চাইতেন তাহলে কাশীপুর, বক্তাবলী, এনায়েতনগর, ফতুল্লা এবং কুতুবুপুরের নেতাকর্মীরা এতোদিনে পদ পেয়ে যেতেন। কিন্তু বাদল ও শওকত পদ পাওয়ায় এখন তাদের আর কোনো আগ্রহই নেই। অথচ সামনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছর। তারা যে স্টাইলে চলছেন এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে তারা বিএনপিকে মোকাবেলা করতে পিছিয়ে পড়বেন বলেও মত তৃণমূল নেতাকর্মীদের।

অপরদিকে, ফতুল্লা থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করার পর থেকেই বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার জন্য জোর তৎপরতা চলছে। শিগগিরই হয়তো বিএনপির এসব কমিটি গঠন করা হবে। এতে সাংগঠনিক ভাবে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে বিএনপি এবং পিছিয়ে পড়বে আওয়ামীলীগ।

এদিকে ফতুল্লার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, ফতুল্লার রাজনীতিতে আগে থেকেই বিএনপি ব্যাপক জনপ্রিয়। সম্প্রতি এ বিষয়ে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুরু থেকেই ফতুল্লার রাজনীতিতে বিএনপি একটি জনপ্রিয় দল। তাই এ দলটি যদি এখানে সাংগঠনিকভাবে ঘুরে দাড়াতে পারে তাহলে আওয়ামী লীগ তাদেরকে মোকাবেলা করতে পারবে না। তাই আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিগুলো না করার কারনে সাংগঠনিক ভাবে পিছিয়ে পড়ছে দলটি।