সিদ্ধিরগঞ্জে বেপরোয়া শফিক বাহিনী

102

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

এবার ভয়ংকর হয়ে উঠেছে সিদ্ধিরগঞ্জের ২নং ওয়ার্ডের শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক। তার বিরুদ্ধে এরই মাঝে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন।

তিনি জানিয়েছেন, শফিক ওই এলাকায় প্রায় ৩০/৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করেছে। আর এই বাহিনী এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে চলেছে। এরই মাঝে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এই বাহিনীর হোন্ডা মহড়ার ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পরেছে। তিনি প্রশ্ন করেন পুলিশ কোনো তাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে? তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতারের কোনো চেষ্টা করছে না। বরং উল্টো এই শফিক যাদেরকে নির্যাতন করছে তাদেরকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আটকে রেখে হয়রানী করার অভিযোগ করেছেন তিনি।

এদিকে সূত্রমতে জানা গেছে, গত শুক্রবার সকাল ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার আবদুল আলী পুল এলাকায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের সচিব মহিউদ্দিনকে এবং ড্রাইভার উজ্জলকে মারধর করা হয়। শফিক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা তাদেরকে বেদম প্রহার করে।

এই ঘটনার পরে সচিব মহিউদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাকে এবং কাউন্সিলর ইকবালের ড্রাইভার উজ্জলকে থানায় আটকে রাখা হয়। পরে সচিব মহিউদ্দিনকে ছেড়ে দেয়া হলেও ড্রাইভার উজ্জ্বলকে ছাড়া হয়নি।

উজ্জলের পরিবার জানিয়েছে, সে একজন নীরিহ ড্রাইভার মাত্র। তিনি কোনো রাজনীতির সাথে জরিত নন। তিনি কাউন্সিলর ইকবালের ড্রাইভার হিসাবে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাই পুলিশ কেনো তাকে গ্রেফতার করলো সেটা তারা বুঝতে পারছেন না।

এদিকে, শহীদ চেয়ারম্যানের ছেলে শফিকুল ওরফে শফিকের শেল্টারে থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠলেও পুলিশ তার বিরুদ্ধে এবং তার বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না বলে জানিয়েছে ইকবাল হোসেন এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দ। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে ততোই নারায়ণগঞ্জের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পরছে। যা কিনা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে অন্তরায় হয়ে উঠবে বলে তারা মনে করেন।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কল রিসিভ করেন নি শফিকুল ইসলাম।