যেকোনো মূল্যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা জানালেন বিএনপির তৃনমূল...

বাসে আগুন দেয় আ.লীগ, দোষ চাপায় বিএনপির উপর

109

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নানা রকম নাটকের মধ্য দিয়ে আবারও এক দলীয় নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে চলেছে সরকার। তাই দেশে আগামী দিনগুলিতে বেশ বড় ধরনের সংঘাত ছড়িয়ে পরবে বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জে বিএনপির তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে গতকাল নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গ দলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা মনে করেন সরকার কোনো মতেই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চায় না। তারা আবারও পুলিশ বাহিনী এবং তাদের দলের সন্ত্রাসীদের ব্যাবহার করে মানুষের ভোটের অধিকার হরন করতে চায়। কিন্তু এবার আর তেমন কিছু সম্ভব হবে না।

এ বিষয়ে গতকাল ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা এবার ঘর থেকে বিদায় নিয়েই মাঠে নেমেছি। এই স্বৈরাচার সরকার যে তাদের পতন না হওয়া পর্যন্ত কোনো মতেই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবে না এটা আমরা জানি। তাই আমরাও এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবোনা ইনশাআল্লাহ। তিনি আরো বলেন আমরা এটাও জানি সরকার নতুন করে আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার জন্য। তাই আমি দলের সর্ব স্থরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানাবো তারা যেনো এ ব্যাপারে সতর্ক থাকেন। গ্রেফতার এরিয়ে দলের প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন।

এদিকে এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ বলেন, সরকার আবারো সেই পূরনো নোংরা খেলা শুরু করেছে। তারা বাসে আগুন দিয়ে আমাদের উপর দোষ চাঁপাতে চাইছে। কিন্তু এবার এই খেলায় সুবিধা করতে পারবে না বলে আমরা মনে করি। এবার আর তাদের সেই পূরনো নোংড়া খেলা সফল হবে না। আর এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরাও ঘরে ফিরে যাবো না।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এবার তাদের হারানো অধিকার ফিরে পেতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। সারা দেশে ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শরীক হয়েছে কোটি জনতা। তাই বিএনপির এবার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এই সরকারের বিদায় ঘটাতে চাইছে। কিন্তু সরকার চাইছে সংঘাত সংঘর্ষ। তাই তারা তাদের দলীয় গুন্ডা বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে। নিজেরা বাসে আগুন দিয়ে বিএনপির উপর দোষ চাপাচ্ছে। কিন্তু এসব করে এবার আর তাদের কোনো লাভ হবে না। কেনোনা এবার বাংলাদেশের মানুষের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে গোটা গণতান্ত্রিক বিশ^ এ দেশে একটি অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচন চাইছে। তাই আমরা মনে করি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই সরকারের বিদায় ঘটবে ইনশাআল্লাহ।

একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক জুবায়ের রহমান জিকু। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মহল যখন বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচন নিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছে তখন সরকার এবং সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা নানা রকম নোংরা খেলা শুরু করেছে। তার আমাদের নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে রাস্তায় ফেলে পিটায়, আবার ডিবি অফিসে নিয়ে আপ্যায়ন করে সেটা ভিডিও করে ছড়িয়ে দেয়। তাই আমরা মনে করি নোংড়ামির একটা সীমা থাকা উচিৎ। এসব করে সরকার আন্দোলন বানচাল করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।