আ:লীগ সরকারকে আজাদের হুশিয়ারী “এক মাঘে শীত যায় না”

105

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের আমলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নামেও মামলা হয়েছে। আজকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামীলীগের সকল নেতাকর্মীদের মামলা শেষ, সবাই বেকসুর খালাস। অথচ বিএনপির মামলা শেষ হয় না, আজকে সেসব মামলায় জিয়া পরিবারসহ বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীদের ভুক্তভোগী বানানো হচ্চে। এসব অবিবেচক কাজ ছাড়েন সরকার। মনে রাখতে হবে, এক মাঘে কিন্তু শীত যায় না, শীত বারবার আসে। এখনও সময় আছে আপনারা ভালো হয়ে যান।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পাঁচদিন ব্যাপী কর্মসূচীর ৪র্থ দিনের আলোচনা সভা, দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যু্বদলের আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তুর সভাপতিত্বে নগরীর ১১নং ওয়ার্ডের কিল্লারপুল এলাকায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আজাদ বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। কিন্তু এ সত্যিটা আওয়ামীলীগ সরকার স্বীকার করে না, কারণ আওয়ামীলীগ সত্যি স্বীকার করতে জানে না, তারা শিখে নাই। এটা খুবই লজ্জাজনক ও দু:খজনক ব্যাপার সমগ্র বাঙ্গালী জাতির জন্য।

তিনি বলেন, স্বাধীণতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এ স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকার এ ইতিহাস বদলাতে চায়। কাগজ কলমে ইতিহাস বদলানোর চেষ্টা করা হলেও মানুষের মন থেকে তা বদলানো সম্ভব না। এটা উনাদের জন্য লজ্জাজনক ব্যাপার, কিন্তু তারা লজ্জা পায় না। কারণ উনাদের লজ্জা-শরমের একটু অভাব আছে।

কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, সৌদি আরবে আমাদের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে কিন্তু গাছ আছে। ঐ গাছের নাম জিয়া গাছ। আমাদের প্রেসিডেন্টকে কতটা মূল্যায়ন করতো এটা থেকেই তা বুঝা যায়। শুধু সৌদি সরকার নয় সমগ্র বহি:র্বিশ^ই তাকে মূল্যায়ন করতো। আমাদের নেতা, আমাদের দল কখনো কোনো সমঝোতায় যায় না। বিএনপি কোনো সমঝোতার দল না।

ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে আজাদ বলেন, আসুন তারেক রহমানের নির্দেশনায় আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে এ স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাই। তারেক রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা-মহানগর বিএনপি ও সকল অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন এদেশরে অন্যান্য জেলার তুলনায় সর্বোচ্চ ভুমিকায় থাকবে এবং সে আন্দোলনের মাধ্যমে এ স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এতে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এড. জাকির হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মাশুকুল ইসলাম রাজীব, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ফারুক হোসেন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক প্রমুখ।