বঙ্গবন্ধুর ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে শামীম ওসমান...

৭৫’র চেয়েও ভয়ঙ্কর কিছু ঘটাতে চায় স্বাধীণতা বিরোধীরা

206

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান বলেন, আমি আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ করবো, ৭৫’ এর ১৫ই আগস্ট যে ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছিলো, তার চেয়েও ভয়ানক ঘটনা আগামী দিনে ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তখন চেষ্টা করা হয়েছিলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশটাকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আজকে জামাত-বিএনপিসহ বিশে^র বিভিন্ন শক্তি তার চেয়েও ভয়ংকর কিছু করার চেষ্টা করছে। দেশটাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে যে, এই দেশটা আফগানিস্তান কিংবা সিরিয়ার চেয়ে খারাপ অবস্থা হবে। তাই এই আগস্ট মাসের শেষ দিকে, আগামী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর এই সময়টা বাংলাদেশের জন্য একটা ক্রান্তিকাল। স্বাধীণতার পক্ষের শক্তি যারা আছে, আমি তাদের কাছে বলতে চাই যুদ্ধের সময় আমাদের স্লোগান ছিলো বীর বাঙ্গালী ঐক্য গড়ো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। কিন্তু বর্তমানে আমাদের নতুন প্রজন্মের শ্লোগান হবে, বীর বাঙ্গালী ঐক্য গড়ো, বাংলাদেশ রক্ষা করো।

 

জাতীয় শোক দিবস ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানের উদ্যোগে আয়োজিত মিলাদ-দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গতকাল বুধবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১২টায় ৬৯ নং পশ্চিম মাসদাইর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ-দোয়া ও আলোচনা সভা শেষে নেওয়াজ বিতরণ করেন এ সংসদ সদস্য।

শামীম ওসমান বলেন, আপনারা একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখেন, বিশ্বের প্রায় ৩৩টি দেশে এখন নির্বাচন চলমান কিংবা শীঘ্রই হবে। কোনো দেশের বিষয়ে কোনো আলোচনা নাই, কোনো দেশের হস্তক্ষেপ নাই। আমাদের দেশে এমনভাবে হস্তক্ষেপ হচ্ছে, যে মনে হচ্ছে আমরা একটা পরাধীন রাষ্ট্র। এটার উদ্দেশ্য হচ্ছে, জাতির পিতার কণ্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীণতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। স্বাধীণতা দিয়েছিলেন কিন্তু মুক্তি দেয়া সম্ভব হয় নাই, অর্থনৈতিক মুক্তি। সাড়ে ৩ বছরের মাথায় তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু জাতির পিতার কণ্যা শেখ হাসিনা ৯৬’ সালে ক্ষমতায় এসে কিন্তু হত্যার পরিবর্তে হত্যা করেন নাই। উনি যেটা চেয়েছিলেন তা হলো, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করা। সেই স্বপ্ন পূরণের পথে এসেছি আমরা, বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে মাথা উচু করে দাড়িয়েছে। আজ আমরা গর্ব করে বলতে পারি, বাংলাদেশ কারো পায়ের উপর ভর দিয়ে দাড়ায়নি, বাংলাদেশ নিজের পায়ের উপর দাড়িয়েছে। আর এটাই হয়েছে আমাদের কাল। এই কালের কারণে এবং আমাদের ভৌগলিক সীমারেখা, এই দুইটা মিলিয়ে আমরা এমন একটা অবস্থায় এসে পড়েছি, যে আমাদের উপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। কিন্তু এইসব হস্তক্ষেপ উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রক্তের উত্তরাধিকারী, জননেত্রী শেখ হাসিনা আজকে বিশে^র বড় বড় শক্তিকে সাহস করতে বলতে পারে যে, বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ বিকিয়ে তিনি ক্ষমতায় থাকবেনা। এবং বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ শেখ হাসিনা বিকিয়ে দিবেন না।

তিনি বলেন, স্বাধীণতা বিরোধী শক্তিরা যা করছে করুক, কিছুই করতে পারবে না এদেশের। মুসলমান হিসেবে আমি আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলতে চাই, হয়তো আমার উপর বোম ব্লাস্ট হয়েছিলো, এরকম কিছু হবে, কিছু লাশ বানাবে। কিন্তু ইনশ্আাল্লাহ আল্লাহ’র হুকুমে আগামী দিনে যে নির্বাচন হবে, নির্বাচন সময়মতো হবে এবং এই দেশের জনগনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাই দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন, এই ব্যাপারে আপনারা নিশ্চিত থাকেন।

নেওয়াজ বিতরণের পূর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ পড়ানো হয়।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মতিউর রহমান প্রধান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাসিমা আক্তার বিউটি, এনায়েতনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন চৌধুরী, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহজাহান মাদবর, ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার আতাউর রহমান প্রধান, মহিলা মেম্বার ফারহানা আক্তার। আরো উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা মন্টু, টিটু, মিন্টু প্রমুখ।