হরতালে নাশকতার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জে ...

৬ মামলায় রিজভীসহ আসামী ৩৭৩

163

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

হরতাল কর্মসূচীতে জেলার বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ, জনমনে আতংক সৃষ্টি ও নাশকতার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ছয় থানায় ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ৩৭৩ জন নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর, ফতুল্লা, সোনারগাঁ ও আড়াইহাজারে দায়েরকৃত মামলার বাদী পুলিশ। রূপগঞ্জে আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৩) নামে এক ছাত্রলীগ নেতা মামলা দায়ের করে। এছাড়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় কোনো মামলা করা হয়নি বলে জানা গেছে।

ফতুল্লা
ফতুল্লা মডেল থানা উপ-পরিদর্শক মো. বাপ্পি সরদার বাদী হয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রধান আসামী করে ২৭ জনের নামে মামলা দায়ের করে।

এ মামলার অন্য আসামীরা হলো, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুমন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সদর থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এড: আনোয়ার প্রধান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন সালু, আহবায়ক মাহাবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভুইয়া, সাধারন সম্পাদক জুবায়ের রহমান জিকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাগর সিদ্দিকী, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান দোলন, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছা সেবক দলের আহবায়ক রবিন,ফতুল্লা থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল খালেক টিপু, ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন রানা, যুবদল নেতা শরীফ হোসেন মানিক, কায়েস আহমেদ পল্লব, রতন, মাম হোসেন, (ভুইগড়), ইউসুফ পাটোয়ারী, ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলিম, বাসেদ, মাঈনুদ্দিন, জীবন, হুমায়ুন খান মঞ্জু।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়া জানান রুহুল কবির রিজভী সহ ২৭ জন নাম উল্লেখ্য করে এবং অজ্ঞাত অনেক কেই আসামী করা হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে তিনি জানান।

রূপগঞ্জ
রূপগঞ্জে আবু বক্কর সিদ্দিক নামে ছাত্রলীগ নেতা বাদী হয়ে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামানকে ১ নম্বর, নির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়াকে ২ নম্বর ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনকে ৩ নম্বর আসামী করে ৭৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামীরা হলেন, ৪। শফিকুল ভুইয়া পিতা-আউয়াল ভুইয়া, ৫। মো: লিটন সরকার পিতা-আওয়াল সরকার, ৬। আসাদুজ্জামান ফকির পিতা-গফুর ফকির, ৭। শামীম মিয়া পিতা-নুরুল ইসলাম, ৮। রুবেল মিয়া পিতা-মেজবা উদ্দিন, ৯। শাহীন আকন্দ পিতা-বাছির আকন্দ, ১০। রাসেল ভুইয়া পিতা-তমিজ উদ্দিন ভুইয়া, ১১। আনিসুর রহমান পিতা-নবী হোসেন, ১২। মো: ফিরোজ প্রধান পিতা-লতুফ প্রধান, ১৩। মো: আরজু ভুইয়া পিতা-জালাল উদ্দিন ভুইয়া, ১৪। মো: আজিজ মিয়া পিতা-শফি উল্লাহ, ১৫। মো: সানোয়ার খান পিতা-আমানুল্লাহ খান, ১৬। ওসমান পিতা-হাজী সামছুল ইসলাম, ১৭। মনির হোসেনপিতা-আশরাফ আলী, ১৮। আফজাল কবির পিতা-দিল মোহাম্মদ, ১৯। পিন্টু পিতা-তমিজ উদ্দিন ভুইয়া, ২০। মনির হোসেন পিতা-আব্দুল আলেক, ২১। কাশেম পিতা-জলিল মিয়া, ২২। তারেক পিতা-সুরুজ আলী, ২৩। দেলোয়ার হোসেন ঝন্টু পিতা-লেহাজ উদ্দিন ২৪। প্রিন্স পিতা-আমির হোসেন, ২৫। আব্দুস সামাদ পিতা-জয়নাল হাজারী, ২৬। আশ্রাফুল হক রিপন পিতা-আ: রউফ, ২৭। মো: নাহিদ পিতা-আলী হোসেন, ২৮। রফিকুল ইসলাম পিতাফজলে করিম, ২৯। মো: সামছুল পিতা-ছামু মিয়া, ৩০। শিপলু মিয়া পিতা-আবুল মিয়া, ৩১। রাজিব ভুইয়া পিতা-তমিজ উদ্দিন, ৩২। মো: সারোয়ার সজিব পিতা-জামান মিয়া, ৩৩। কোহিনুর আলম পিতা-তোফাজ্জল হোসেন, ৩৪। দানিস পিতা-শুক্কর আলী, ৩৫। নাইম (কমিশনার) পিতা-আব্দুল খালেক, ৩৬। মিথুন ভুইয়া পিতা-মোসলে উদ্দিন ভুইয়া, ৩৭। রিফাত মিয়া পিতা-মো: রফিক, ৩৮। এম এ হালিম পিতা-আ: ওহাব মাতবর, ৩৯। মো: হারুন অর রশিদ মিয়াজী পিতা-হাজী আকবর মিয়াজী, ৪০। মো: শামীম পিতা-আ: খালেক, ৪১। মো: আলমগীর পিতা-মো: সিরাজ, ৪২। মো: মনির পিতা-রফিক কশাই, ৪৩। মো: জাকির হোসেন পিতা-আশক আলী, ৪৪। মো: মামুন পিতা-মজিবুর রহমান, ৪৫। মো: সোহেল পিতা-আবু সাঈদ মাদবর, ৪৬। মো: আব্দুল হানিফ পিতা-আব্দুর রশিদ, ৪৭। মো: গোলজার হোসেন পিতা-আমিন উদ্দিন, ৪৮। মো: আজিম পিতা-সামছুল হক, ৪৯। আ: আজিজ মাস্টার পিতা-ইসমাইল, ৫০। সাইফুল ইসলাম সমর পিতা-আমজাদ আলী, ৫১। মো: মোস্তফা পিতা-মান্নান, ৫২। মো: মার্শেদ ভুইয়া পিতা-নাজির উদ্দিন, ৫৩। মো: খোকন মিয়া পিতা-করিম মেম্বার, ৫৪। ইয়াছিন পিতা-দ্বীন ইসলাম, ৫৫। দেলোয়ার মিয়া পিতা-মহিউদ্দিন, ৫৬। আনোয়ার মিয়া পিতা-মহিউদ্দিন, ৫৭। মাসুম মিয়া পিতা-জালাল উদ্দিন, ৫৮। জাহাঙ্গীর মিয়া পিতা-মহিউদ্দিন, ৫৯। জসিম মিয়া পিতা-জালাল উদ্দিন, ৬০। মোফাজ্জল পিতা-আব্দুল কাদির, ৬১। জীবন বাবু পিতা-নিতাই তর, ৬২। বজলু মিয়া পিতা- ইউছুফ আলী, ৬৩। আশরাফুল-পিতা-অজ্ঞাত, ৬৪। নবী পিতা-নুরুল হক, ৬৫। সৈকত পিতা-জাকির মিয়া, ৬৬। নুরু মিয়া পিতা- আব্দুর রউফ, ৬৭। ছাত্তার পিতা- আব্দুর রউফ, ৬৮। শাহীন পিতা- আব্দুর রউফ, ৬৯। জাকির হাজী পিতা-রহিম বক্স, ৭০। রাকিব পিতা-মতিউর রহমান, ৭১। সায়েম পিতা-বাদশা ভান্ডারী, ৭২। সালেহ আহম্মেদ পিতা-নাছির, ৭৩। আলমগীর পিতা-মৃত তোফাজ্জল, ৭৪। জাহাঙ্গীর হোসেন পিতা-শুক্কর আলী।

সোনারগাঁ
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক মুহিবুল্লাহ বাদী হয়ে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানকে প্রধান আসামী করে ৮৫ জনের নাম উল্লেখসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, কাঁচপুরে ককটেল বিস্ফোরণ, সড়কে প্রতিবন্ধকতা, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার অভিযোগে ৮৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়। গত ২৮ অক্টোবর রাতে কাঁচপুরে বিএনপি নেতারা ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

সদর
নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় এই আই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৪৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ০৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

মামলার আসামীরা হলো, এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, আনোয়ার প্রধান, মনিরুল ইসলাম সজল, শাহেদ আহমেদ, শাখাওয়াত ইসলাম রানা, হাসান আহম্মেদ, আব্দুল মজিদ, সরকার আলম, দিদার খন্দকার, জিয়া, জোসেফ, জাকির খানের ভাই মামুন খান ও জিকু খান। এদের সহ মোট ৪৫ জনের নামে মামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান বলেন, গতকালের বিভিন্ন নাশকতার ঘটনায় আজ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যাতে অনেক সংখ্যাক অজ্ঞাত আসামীও রয়েছে, তবে তাদের সংখ্যা সঠিক বলা যাচ্ছে না।

বন্দর
বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ ফয়েজ আহাম্মেদ বাদী হয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরনকে প্রধান আসামী করে ৩১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামীরা হলো, মদনপুর দেওয়ানবাগ এলাকার মৃত গিয়াসউদ্দিনের ছেলে মামুন ওরফে হ্যান্ডকাপ মামুন (৪৫) ফুলহর এলাকার আব্দুল সাত্তার মিয়ার ছেলে শাহীন (৪০) মদনপুর কামতাল এলাকার মৃত সাবেদ খন্দকারের ছেলে জাহিদ খন্দকার (৪৮) আমুর কান্দাপাড়া বটতলা এলাকার মৃত সাদেক মিয়ার ছেলে মহসিন (৫০) লাঙ্গলবন্ধ বাজার এলাকার হাবিবুর রহমান হাবিব মিয়ার ছেলে বন্দর উপজেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশীদ লিটন (৪৭) পিচকামতাল বালিগাও এলাকার সায়েদ আলী ছেলে মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি তারা মিয়া (৫৪) মুছাপুর মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকারমৃত আওয়াল মিয়ার ছেলে বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা শাহিন (৪৮) তিনগাও ভদ্রসন এলাকার মৃত হাসমত আলী মিয়ার ছেলে সম্রাট আহাম্মেদ সুজন (৪০) বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিেেয়নর ফরাজিকান্দা এলাকার মৃত মোবারক হোসেন মিয়ার ছেলে উল্লেখিত ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল (৪৮) একই ইউনিয়নের হাজরাদী চাঁনপুর এলাকার আব্দুল হাই মিয়ার ছেলে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম (৪৮) নবীগঞ্জ কবিলেরমোড় এলাকার মৃত আমান সরদারের ছেলে শাহীন আহমেদ সৌরভ (৪০) বন্দর থানার দড়িসোনাকান্দা এলাকার মৃত সাদেক পাঠানের ছেলে মনির পাঠান (৩৮) সরদারবাড়ী এলাকার মৃত আহসানউল্ল্যাহ মিয়ার ছেলে স্বপন সরদার (৪৫) একরামপুর ইস্পাহানী এলাকারমৃত আফজাল হোসেন মিয়ার ছেলে আক্তার হোসেন (৪৮) একই এলাকার মৃত মহিউদ্দিন মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন (৫২) ২৬নং ওয়ার্ড রামনগর এলাকার মৃত তাওলাদ হোসেন মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিন (৪৮) কুড়িপাড়া এলাকার মৃত সালাম মাষ্টারের ছেলে বন্দর থানা বিএনপি নেতা ফিরোজ আহাম্মেদ (৪২) একই এলাকার মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে রমজান আলী (৪২) মদনপুর কলাবাড়ী এলাকার মৃত মান্নান ভূঁইয়ার ছেলে আনিছ ভূইয়া (৪০) বন্দর ২৪নং ওয়ার্ডের চৌরাপাড়া এলাকার মৃত হাতেম বেপারী ছেলে শরিফ (৪৫) দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকার আব্দুল সালাম মিয়ার ছেলে রুবেল (৩৫) বন্দর ২১ নং ওয়ার্ডের ছালেনগর এলাকার মৃত বাবর বেপারী ছেলে মহানগর বিএনপি নেতা আমির হোসেন (৫২) দেওয়ানবাগ পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত কামিজ উদ্দিনের ছেলে নাজমুল (৪২) কলাগাছিয়া এলাকা সাবদী এলাকার উপজেলা বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন শিশির (৪৮) ফুলহর এলাকার শহিদুল্লাহ ওরফে পাইচা মিয়ার ছেলে আল আমিন (৩৮) কুড়িপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল সামাদ ডাক্তারের ছেলে বিএনপি নেতা মিজান (৪০) বন্দর তিনগাও ভদ্রসন এলাকার মৃত হাসমত আলী ছেলে রাজু আহাম্মেদ (৩৮) সেনেরবাড়ী চাঁন মার্কেট এলাকার হযরত আলী ছেলে হারিছ (৩৭) ও একই এলাকার মৃত খালেক মিয়ার ছেলে ওয়াদুদ সাগর (৪৫) বন্দর বাজুরবাগ এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে তাওলাদ (৪৮)।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন, আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত আছে। উল্লেখিত আসামীদের দেখামাত্র গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। বন্দরে কাউকে আগুন সন্ত্রাস করতে দেওয়া হবে না।

আড়াইহাজার
আড়াইহাজার থানার উপ-পরিদর্শক মো. রাসেল মিয়া বাদী হয়ে বিএনপির নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদকে প্রধান আসামী করে ৩১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামীরা হলো, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম সিকারী, মাসুম, রিপন মেম্বার, আল আমিন, আলমগীর, মো. সাদেক, তানভীর, আতাউর মেম্বার, আকাশ, সজল, শাওন, মামুন, আপু, আবদু, হাবিবুর রহমান, সাদেকুর রহমান সাদের, কবির হোসেন, এমদাদ হোসেন, পিয়ার আলী, মো. কামাল, মো. সজিব, ইদ্রিস আলী, মো. আজিজ, মো. রিজভি, জামির, রাজু, মো. জহির, মো. আক্তার।

মামলা সূত্রে জানা গেছে- বিএনপি-জামায়াত হরতালে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের পাচরুণী ৩৮নং সরকারী প্রাইমারী বিদ্যালয়ের সামনে পাকা রাস্তা বন্ধ করে ১নং আসামী নজরুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী নেতা কর্মী ও সমর্থকরা লাঠিসোট, লোহার রড, ধারলো মারাত্মক অস্ত্র ও ইট পাটকেল, ককটেল বোমাসহ দলবদ্ধভাবে শক্তির মহড়া, প্রদর্শন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে মহাসড়কে বিশৃংখলা ও অরাজক পরিস্থিতি করার ফলে রাস্তার যানবাহন চলাচল সম্পূর্নরুপে বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া রাস্তায় দাড়ানো অবস্থায় থাকা যানবাহন ভাংচুর করার চেষ্টা করে আসামিরা। এবং পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল বোমা নিক্ষেপ করা হয়।

এদিকে, এসব মামলাকে সরকার ও পুলিশ সুপারের সাজানো ও মিথ্যা মামলা বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। নারায়ণগঞ্জ সমাচারকে তিনি বলেন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানসহ আমার এবং আনোয়ার প্রধানকে নারায়ণগঞ্জ সদর ও ফতুল্লা থানার ২ মামলা আসামী করা হয়েছে। এছাড়াও জেলাজুড়ে যেসকল মামলা করা হয়েছে, এগুলো মূলত এই সরকারের সাজানো ও পুলিশ সুপারের মিথ্যা মামলা। মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে তারা বিভিন্ন কর্মসূচী থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে দুরে রাখতে চায়। যেন অবরোধ না হয়, মহাসমাবেশ না হয়, কোনো আন্দোলন না হয়, যাতে তারা আরাম আয়েশে লূটপাট করে খেতে পারে। এই কারণেই বিএনপির উপর তারা নির্যাতন চালাচ্ছে।
পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা শুধু নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে এটুকুই বিচার দিবো, যে হাত দিয়ে মিথ্যা কথা লেখে, যে বিবেক দিয়ে এসপি সাহেব অর্ডার দেয়, ওসি সাহেবসহ যে দারোগারা লেখে আল্লাহ তায়ারা যেন তাদের বিবেক, হাত ও মুখের বিচার করে। এই সাজানো মিথ্যা মামলার জন্য আল্লাহ যেন তাদের বিচার করে।

তিনি আরও বলেন, কোনো মামলা দিয়েই বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবিয়ে রাখা যাবেনা। আন্দোলন স্থগিত করতে পারবে না। গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করা, সংবাদপত্রে স্বাধীণতা, ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক তারেক রহমানের নির্দেশে দেশের ২০ কোটি মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য আমরা যে কোনো কর্মসূচী পালন করতে বদ্ধপরিকর। এবং আমরা জনগনের সমর্থন নিয়ে সেই কর্মসূচী পালন করবো।

সবশেষে, এসকল মামলাকে আবারও মিথ্যা ও সাজানো উল্লেখ করে এসব মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।