১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকেও শিক্ষা হয়নি বিএনপি নেতাদের

207
নারায়ণগঞ্জ বিএনপি

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

আগামী বছরই দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচন হতে যাচ্ছে বিএনপির বাঁচা মরার লড়াই। তাই আগামী বছরের এই নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয় তার জন্য কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে আন্দোলন করতে চায় বিএনপি। কিন্তু দলটি আন্দোলন করাতো দূরের কথা তারা নিজেদের মাঝে দ্বন্দ্ব কোন্দল করে আরো বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে।

ফলে নারায়ণগঞ্জবাসী মনে করে, টানা পনেরো বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাহিরে থেকেও তাদের কোনো শিক্ষা হয়নি। ফলে নারায়ণগঞ্জে যতো দিন যাচ্ছে ততোই অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে বিএনপি। কোন্দলে কোন্দলে একেবারে শেষ হওয়ার পথে রয়েছে জনপ্রিয় এই দলটি।
জানা গেছে, এক সময় প্রয়াত নেতা মতিন চৌধুরী আর জালাল হাজীদের হাত ধরে যাত্রা শুরু করা এই দলটি সারা নারায়ণগঞ্জ জেলায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলো। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে এই দলের প্রার্থীরা নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনেই বিপুল ভোটে বার বার নির্বাচিত হয়েছেন বলে দাবি নেতাকর্মীদের।

অথচ সেই জনপ্রিয় দলটিই এখন রীতিমতো নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে। এই দলে কোন্দেল এখন এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে এক নেতা আরেক নেতাকে হত্যা প্রচেষ্টা পর্যন্ত চালাচ্ছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিতে এখন আর কোনো হেভিওয়েট নেতাও নেই বলে দাবি তৃণমূল নেতাকর্মীদের। যারা আছেন তারা সকলেই তৃতীয় সারির নেতা। তাই এখন আর কেউ কাউকে মানেন না।

তাছাড়া, নতুন করে যাদেরকে থানা পর্যায়ের নেতৃত্বের আসনে বসানো হচ্ছে তাদেরকে চিনেন না বিএনপির রাজপথের নেতাকর্মীরা। যাদের কোনো কর্মী বাহিনী নেই তারাই হচ্ছেন এখন থানার নেতা। জেলার চুয়াল্লিশটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভা গুলিতেও কোনো সম্মেলন হয় নাই। তাই সাংগঠনিকভাবে একেবারেই পঙ্গু হয়ে পড়ছে দলটি।

পরিস্থিতি এখন এমন দাড়িয়েছে যে চতুর্থ সারির নেতারাও এখন থানা এবং জেলার নেতা হতে চান। ফলে পরিস্থিতি এখন এমন হয়েছে যে বিএনপিতে নূন্যতম কোনো চেইন অব কমান্ড নেই। তাই আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিএনপি যে, কোনো ভূমিকাই রাখতে পারবে না এটা এখন একেবারে দিবালোকের মাতোই পরিস্কার। সহসা ঘুরে দাড়াতে পারবে না জেলাটিতে পঙ্গু হয়ে যাওয়া বিএনপি।

তাই আগামী দিনে এই জেলায় বিএনপি তার জনপ্রিয়তাও ধরে রাখতে পারবে কিনা সেই প্রশ্নও রয়েছে। কারন যে দলের নেতারা এমন চরম দু:সময়েও একতাবদ্ধ হতে পারেন না তারা আগামী দিনে কিভাবে জনগনের জন্য ভূমিকা রাখবেন? এই নেতারা তো ক্ষমতা পেলে ঠিক বর্তমান সরকারী দলের নেতাদের মতোই নিজ নিজ আখের গুছানোর জন্য উঠেপরে লাগবেন বলে মনে করে সাধারণ জনগন। তখন হাট-ঘাট, মাঠ আর ঝুটের দখল নিয়ে নিজেদের মাঝে মারামারি কাটাকাটিতে লিপ্ত হবে দলটির নেতাকর্মীরা। তাই জনগনও ধীরে ধীরে বিএনপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।