হরিজন সম্প্রদায়ের উপর হামলার প্রতিবাদে নগরীতে মানববন্ধন

39

শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন।

এসময় তিনি বলেন, আমরা কেনো আজকে এখানে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি সেটা সকলেরই জানা। আমি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকল ধর্মের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলতে চাই এটা নিয়ে কোন রাজনীতি না। আমরা চাই যেখানে মানবতা লঘিংত হয় সেখানে দেশের সকল মানুষ সমস্বরে চিৎকার করে উঠুক। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ একটি অসাম্প্রদায়িক প্লাটফর্ম, একটি মানবাধিকার প্লাটফর্ম। এর মাধ্যমে যেখানে নিপীড়িত মানুষ সেখানেই আমরা গর্জে ওঠার চেষ্টা করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকাকালীন এ ধরনের বর্বরোচিত কান্ড আমাদের হতবাক করে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে আপনি মিরনজিল্লা সহ দেশের সকল সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা আইন নিশ্চিত করবেন এবং আমাদের সকল দাবী-দাওয়া পূরণ করবেন। আপনার সরকারকে আমরা অভিনন্দন জানাই কারন মতিঝিলে আমাদের যে সম্পদ ছিলো সেটা সরকারের সদিচ্ছার কারনে অবমুক্ত করতে পেরেছি। কিন্তু যে নির্মমতা গুলো হয় সেটা মানবিকভাবে দেখার দ্বায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এক জায়গা থেকে উপেক্ষা করে অন্য জায়গায় পুরস্কৃত করবেন সেটা আমরা চাই না।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন পত্রিকার পাতায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা সাম্প্রদায়িক সংবাদ আমরা পাই। সরকারী বিভিন্ন এজেন্সি ও প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে, যখনই আপনারা এগুলো দেখবেন সাথে সাথে এসবের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। বাংলাদেশের  সকল মানুষ সাম্প্রদায়িক না, কোন একটা গোষ্ঠী সেখানে ব্যবসার জন্য, ভবন তৈরি, বাজার সৃষ্টি করার জন্য এই অমানবিক পন্থা হাতে নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা প্রধান্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানে সবাই যখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে তখন স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী অপশক্তি এই উন্নয়নের গতিকে থামিয়ে দিতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ঢাকার বংশালে মিরনজিল্লা হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ডোম সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ঈশ্বর লাল, নারায়ণগঞ্জ জেলা হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি অমৃত লাল, সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ সিং, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি রঞ্জন বেগি, ফতুল্লা থানা হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি স্বপন ডোম, টানবাজার হরিজন কলোনী নেতা কািমাল লাল, মাসুম লালম রুবেল লাল, বন্দর উপজেলা নেতা স্বাধীন লালসহ হরিজন সম্প্রদায়ের শতাধিক নেতাকর্মী।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা দাস, বাদল দাস, অর্থ সম্পাদক গনেশ সাহা, যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক অভিরাজ সেন সজল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন রুদ্র, প্রচার সম্পাদক তপন গোপ সাধু, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি হিমাদ্রি সাহা হিমু, সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ আচার্য্য, সোনারগাঁ থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লোকনাথ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক এড. প্রদিপ ভৌমিক, ফতুল্লা থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রদিপ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক শিবু দাস, যুগ্ম সম্পাদক বীরেন দাস, বন্দর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ভোলানাথ সাহা, গৌতম সাহা, মুসাপুর ইউনিয়ন সভাপতি দিলিপ দাস, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিত ঘোষ, বারদী ইউনিয়ন পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিপন শীল প্রমূখ।