অপারেশন ক্লিন স্ট্রিট’র তৃতীয় দিনেই ভেঙ্গে পড়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থা...

শহরের ভেতরে মিশুক-অটোরিকশা-ইজিবাইক, ফুটপাত ছিলো হকারদের দখলে

175
সড়কে ছিলো মিশুক-অটোরিকশা-ইজিবাইক, ফুটপাত ছিলো হকারদের দখলে

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

‘অপারেশন ক্লিন স্ট্রিট’র তৃতীয় দিনেই ভেঙ্গে পরেছে ট্রাফিক ব্যবস্থা, পুরোনো চেহারায় ফিরেছে নারায়ণগঞ্জ। এদিন সড়ক ছিলো মিশুক, ইজিবাইক-অটোরিক্সার মতো অবৈধ যানবাহনের দখলে এবং ফুটপাত ছিলো হকারদের দখলে। ফলে তৃতীয় দিন অর্থাৎ আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নগরীতে দেখা গেছে ব্যাপক যানজট।

গত মঙ্গলবার ও বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, অপারেশন ক্লিন স্ট্রিটের প্রথম দিন পুলিশের হার্ডলাইনের কারণে শহরে ঢুকতে পারেনি অবৈধ একটি যানবাহনও, ফুটপাতেও বসতে পারে নি কোনো হকার। ফলে এদিন শহর ছিলো শতভাগ যানজটমুক্ত। তারপর দিন পুলিশের অ্যাকশনে কিছুটা শিথিলতা লক্ষ্য করা গেছে, ফলে অল্প সংখ্যক হলেও ইজিবাইক-অটোরিক্সা-মিশুক নগরীতে প্রবেশ করেছে। বিকেলের দিকে ফুটপাতেও দেখা গেছে হকারদের।

তবে, এ অপারেশনের তৃতীয় দিন অর্থাৎ আজ সকাল থেকেই নগরীতে দেখা মিলেছে ব্যাপক ইজিবাইক-অটোরিক্সা ও মিশুকের। ফলে দুইদিন বিরতির পর নগরীতে আবারও চরম আকার ধারণ করেছে যানজট। এছাড়া, এদিন সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু সড়কে পুলিশের বাশ ও ব্যারিকেডের উপর দিয়েই বসতে দেখা গেছে হকারদের।

শহরের মন্ডলপাড়া, ডিআইটি, ২নং রেল গেইট, চাষাড়া, মেট্রোহল, খানপুর, কালিবাজার ও ১নং রেল গেইট ঘুরে দেখা যায়, নগরীতে বিভিন্ন রুটের শত শত ইজিবাইক-অটোরিক্সা-মিশুক প্রবেশ করেছে। অবৈধ এসকল যানবাহনের চালকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আরে এগুলি কিছু না। পুলিশ দুইদিন একটু টাইট দিয়া জনগনরে দেখাইলো আরকি, আজকা থেইক্কা আবার সব ঠিক। তাছাড়া, অনেকেই ট্রাফিক বিভাগের কতিপয় অসাধু পুলিশকে মাসিক মাসোহারা দেন বলেও জানান তারা। সুমন নামে এক ড্রাইভার বলেন, আমার বসের ৩০টি অটোরিক্সা। প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা দেয় এক পুলিশ স্যারেরে। এজন্য আমারে ধরে না। ধরলেও পরে ছাইড়া দেয়।

আরেক অটোরিক্সা চালক বলেন, পুলিশ চাইলেও পারতো না। কারণ আমরা অনেকেই অটোরিক্সা-মিশুক চালাইয়া সংসার চালাই। এগুলো বন্ধ করলে, আমরা খামু কেমনে।

এদিকে, নগরবাসীর দাবি, পুলিশ চাইলেই যে শহরকে যানজট ও হকারমুক্ত রাখতে পারে তা আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি। তাই পুলিশের উচিৎ, অন্তত পবিত্র এ রমজান মাসে মানুষের ভোগান্তি লাঘবে তারা যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা যেনো তারা কন্টিনিউ করে। এতে নগরবাসীর কর্মঘন্টা বাঁচার পাশাপাশি, দীর্ঘসময় যানজটে বসে থাকার কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে সাধারণ মানুষ।

অপরদিকে, ফুটপাত দিয়ে যে হাটা যায় তা অনেকটা ভুলতে বসেছিলো নগরবাসী। পুলিশ উদ্যোগ নিয়ে নগরবাসীকে পুনরায় ফুটপাত দিয়ে হাটার যে ব্যবস্থা করেছিলো তাও অব্যাহত রাখার দাবি জানান তারা। তারা বলেন, গত দুইদিন অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পেরেছি। কারো সাথে গায়ে গায়ে ধাক্কা লাগে নি বা সড়ক দিয়েও হাটতে হয় নি। তাই পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি, নগরবাসীর শান্তি তারা ফিরিয়ে আনুক এবং যে উদ্যোগ তারা নিয়েছে তা অব্যাহত থাকুক।