সেলিম ওসমান সর্বনিম্ন ৫

185
সেলিম ওসমান সর্বনিম্ন ৫ বিশেষ প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ: জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন উপস্থিতির রেকর্ড করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। গত তিন বছরে সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশন পর্যন্ত ১৫৭ কার্যদিবসে এমপিদের মধ্যে সবচেয়ে কম উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী এই নেতা। তিনি মাত্র ৫ দিন উপস্থিত ছিলেন সংসদে। শুধু সেলিম ওসমান নন, উপস্থিতির দিক দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে জাতীয় পার্টির অপর সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাও কম যাননি। তিনি ওই একই সময়ে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২২ দিন।

বিশেষ প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ: জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন উপস্থিতির রেকর্ড করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। গত তিন বছরে সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশন পর্যন্ত ১৫৭ কার্যদিবসে এমপিদের মধ্যে সবচেয়ে কম উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী এই নেতা। তিনি মাত্র ৫ দিন উপস্থিত ছিলেন সংসদে। শুধু সেলিম ওসমান নন, উপস্থিতির দিক দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে জাতীয় পার্টির অপর সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাও কম যাননি। তিনি ওই একই সময়ে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২২ দিন।

জাতীয় সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছরে সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশন পর্যন্ত ১৫৭ কার্যদিবসে এমপিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৪০ দিন উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসন-২৮-এর সৈয়দা রুবিনা আক্তার। সবচেয়ে কম মাত্র ৫ দিন সংসদ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের একেএম সেলিম ওসমান। তবে সরাসরি নির্বাচিত ও সংরক্ষিত আসনের নারী এমপিদের উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে সন্তোষজনক। তাদের বেশিরভাগেরই সংসদে উপস্থিতি ৯৭ দিন থেকে ১৩৭ দিন পর্যন্ত।

সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিগত সংসদগুলোতে বিশেষ করে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম জাতীয় সংসদে অপেক্ষাকৃত তরুণ এমপিদের অধিবেশন কার্যক্রমের প্রতি আগ্রহ তুলনামূলক বেশি ছিল। বর্তমান সংসদে প্রবীণ এমপিদের অধিবেশনে উপস্থিতির হার বয়সে তরুণ বা প্রথমবার এমপি হয়েছেন তাদের চেয়ে অনেক বেশি।

একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। তখন থেকে ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত তিন বছরে সংসদের ১৫টি অধিবেশনে মোট বৈঠক হয়েছে ১৫৭ কার্যদিবস। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের রাজশাহী-১ আসনের এমপি মো. ওমর ফারুক চৌধুরী ১৮ দিন, আওয়ামী লীগের তরুণ এমপিদের মধ্যে নড়াইল-২-এর মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ১৫৭ কার্যদিবসের মধ্যে মাত্র ১৯ দিন, যশোর-১ আসনের শেখ আফিল উদ্দিন ২৬ দিন, গাজীপুর-৪-এর সিমিন হোসেন রিমি ৩১ দিন, বাগেরহাট-২ আসনের শেখ তন্ময় ৩২ দিন, ঝিনাইদহ-২ আসনের তাহজীব আলম সিদ্দিকী ৩৫ দিন, নারায়ণগঞ্জ-৩-এর জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকা ২২ দিন এবং মুন্সীগঞ্জ-১-এর বিকল্পধারার মাহী বি. চৌধুরী মাত্র ৩০ দিন সংসদ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।

তবে প্রবীণ এমপিদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শেরপুর-২-এর মতিয়া চৌধুরী ১৩৬ দিন, দিনাজপুর-৪-এর আবুল হাসান মাহমুদ আলী ১৩৬ দিন, পাবনা-১-এর শামসুল হক টুকু ১১০ দিন, পটুয়াখালী-২-এর আ স ম ফিরোজ ১২৫ দিন, ময়মনসিংহ-৯-এর আনোয়ারুল আবেদীন খান ১৩৮ দিন, কুমিল্লা-১১-এর মো. মুজিবুল হক ১১৩ দিন, মৌলভীবাজার-৪-এর মো. আব্দুস শহীদ ১০২ দিন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ১২০ দিন, ভোলা-১-এর তোফায়েল আহমেদ ৯১ দিন, বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সুনামগঞ্জ-৪-এর পীর ফজলুর রহমান ১২৫ দিন, রংপুর-১-এর মশিউর রহমান রাঙ্গা ১২১ দিন, বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের ১১২ দিন, কিশোরগঞ্জ-৩-এর মো. মুজিবুল হক ১১০ দিন, বিএনপির চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩-এর মো. হারুনুর রশীদ ১১৭ দিন, বিকল্পধারার লক্ষ্মীপুর-৪-এর আবদুল মান্নান ১০০ দিন সংসদ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, গত তিন বছরের মধ্যে প্রায় দুবছর করোনা মহামারিতে বিশেষ পরিস্থিতিতে সংসদ অধিবেশন পরিচালিত হয়েছে। করোনার কারণে আমরা চাইনি সবাই অধিবেশনে যোগদান করুক। তাই রোস্টার করে অধিবেশনের একেক দিন একেক গ্রুপকে সংসদে যোগদান করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ আলোচনার জন্য সিনিয়র এমপিদের এবং বিল সংক্রান্ত আলোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট এমপিদের অধিবেশনে আসার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে হয়তো কোনো কোনো এমপি সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাননি। তাই তরুণ এমপিদের সংসদ অধিবেশনের প্রতি আগ্রম কম এমনটি বলা যাবে না। তিনি বলেন, এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সবাই সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবেন।