প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার ও নিরপরাধ কাউকে হয়রানী না করার আহবান...

সুরুজ আলী হত্যার প্রতিবাদে কাশীপুরে আ.লীগের প্রতিবাদ সভা

65

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক সুরুজ আলী মাদবরকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা করেছে কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আইয়ূব আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম এ সাত্তারের সঞ্চালনায় এবং যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান সাজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শুক্রবার (০৫ জুলাই) বাদ মাগরিব ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভা শেষে মরহুমের মাগরফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়।

প্রতিবাদ সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবি করেন তারা। বিচার হওয়ার আগ পর্যন্ত সুরুজ আলীর পরিবারের পাশে থাকার আহবান জানান তারা। গণমাধ্যমের ভুয়সী প্রসংশা করেন নেতৃবৃন্দরা। একইসাথে সত্য ঘটনাকে আড়াল করে, গল্প কাহিনী বাহিনী নিরাপরাধ কাউকে হয়রানী না করারও আহবান জানান তারা।

সভাপতির বক্তব্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আইয়ুব আলী বলেন, এই হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত সুরুজ ভাইয়ের পরিবারের পাশে আমরা থাকবো।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সাত্তার বলেন, সাল্লু ও হিরাকে কাশীপুর থেকে বিতাড়িত করলেই কাশীপুরবাসী শান্তি পাবে। এতে কাশীপুরের কোনো ক্ষতি হবে না, বরং কাশীপুরবাসী শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত এই প্রতিবাদ চলমান থাকবে।

ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমির উল্লাহ রতন বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি শাসনামলে যে অত্যাচার করা হয়েছিলো, বর্তমানে তার চেয়েও বেশী অত্যাচার হচ্ছে। এই সকল অপরাধীদের মদদদাতা কারা, তাদেরকেও চিহ্নিত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানাচ্ছি।

সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মান্নান বলেন, হত্যাকারীদের ফাসি না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই হত্যার প্রতিবাদ করে যাবো।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি বলেন, আওয়ামীলীগের আমলে যতো খুন হচ্ছে, বিএনপি আমলেও এতো খুন হয় নাই। আমাদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য না থাকাই এর প্রধান কারণ। কারা এই খুনের পেছনে মদদদাতা, তাদেন খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা উচিৎ।

সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু বলেন, বেশ কয়েকজন আসামী গ্রেফতার হলেও মূল হোতা সাল্লুকে এখনো গ্রেফতার করতে পারে নি পুলিশ। সাল্লু সহ বাকী আসামীদের গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি শিবলী সাদিক শিপলু বলেন, কাশীপুর মনে হয় খুনের রাজনীতিতে জড়িয়ে যাচ্ছে। আমাদের সকলকে সোচ্চার হতে হবে, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রূখে দাড়াতে হবে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই। কিন্তু অহেতুক কাউকে হয়রানি না করার আহবান জানাচ্ছি। ৭ নং ওয়ার্ডের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে আফজালকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের বিচার পাই নাই। সাল্লু-হিরার ক্রসফায়ার চাই।

১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নুর আলম বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ রাখবো, ছোট ছোট বিষয়গুলো উনারা যাতে দ্রুত নিস্পত্তি করুক। কারণ ছোট ছোট বিষয়গুলো থেকেই বড় বড় ঘটনা ঘটছে।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল প্রধান বলেন, দলের দুঃসময়ে ঝাপিয়ে পড়তেন সুরুজ আলী মাদবর। হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা উচিত।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রবীন রাজনীতিবীদ ইউনুস আলী মেম্বার বলেন, আর কোনো নেতাকে যেন এভাবে খুন হতে না হয়, সেজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ ও সজাগ থাকার আহবান জানাচ্ছি।

নিহত সুরুজ আলীর ভাই ও ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, ওরা মানুষ না, ওরা পশু। আমাদের কিছু লোক আছে, যারা ওদের সাথে সখ্যতা করে। এই বিচার কি হবেনা এই দেশে? হত্যায় যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত তাদের সকলের বিচার চাই। হত্যাকারীদের ক্রসফায়ার চাই।

থানা আওয়ামীলীগের সদস্য দুলাল হোসেন বলেন, এ ধরনের অপরাধীদের কে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলা উচিৎ।

প্রতিবাদ সভায় কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।