সারাদেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধের হুমকি

129
সারাদেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধের হুমকি

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ

জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ নৌ যান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল থেকে ৫টি রুটে আগে ৭০টি লঞ্চ চলতো। কিন্তু কোনো নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ করে এ লঞ্চের মালিক-শ্রমিকসহ কোনো সংগঠনকে না জানিয়ে এই লঞ্চগুলি বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই ঘাটের সাথে যুক্ত লেবার, দোকানদার ও শ্রমিকদেরকে তাদের সেই আগের কর্মসংস্থানে ফিরে যাওয়ার একটি সুব্যবস্থা করে দেয়া হোক। নয়তো আমরা বলতে চাই, সদরঘাটসহ সারা বাংলাদেশের যাত্রীবাহী লঞ্চের শ্রমিকরা এই নারায়ণগঞ্জের লঞ্চের শ্রমিকদের দু:খের কথা চিন্তা করে যদি বন্ধ করে দেয় তাহলে এর দায় দায়িত্ব কিন্তু তাদের উপরই বর্তাবে।

‘অবিলম্বে বন্ধ যাত্রীবাহী লঞ্চ চালু করো, করতে হবে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিভিন্ন রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে এবং ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোদের দাবিতে আয়োজিত গণঅবস্থান কর্মসূচীতে তিনি এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল ঘাট এলাকায় শ্রমিকদের সাথে নিয়ে এ গণঅবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়।

এসময় সবুজ শিকদার বলেন, নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল থেকে ৫টি রুটে আগে ৭০টি লঞ্চ চলতো। কিন্তু কোনো নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ করে এ লঞ্চের মালিক-শ্রমিকসহ কোনো সংগঠনকে না জানিয়ে এই লঞ্চগুলি বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, আজকে সুপরিকল্পতভাবে এই ৬ থেকে ৭শ শ্রমিককে বেকার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে জেডি নির্মাণ করা হয়েছে ফলে এই ছোট লঞ্চগুলি চলতে বিঘ্ন হয়। যারা এ শ্রমিকের বেতন-ভাতা কেড়ে নিয়েছে তাদের বলতে চাই এই নারায়ণগঞ্জে আসেন, দেখে যান এ টার্মিনাল ঘাট এলাকা স্তব্ধ হয়ে আছে। শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। সকলের মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বলতে চাই, অতি দ্রুত শত শত শ্রমিককে কর্মসংস্থানে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। ঈদকে সামনে রেখে বকেয়া বেতন ও বোনাসের ব্যবস্থা করা হোক।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি মঈন মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন চুন্নু মাষ্টার প্রমুখ।