গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রায় নেতৃত্ব শুন্য ফতুল্লা থানা বিএনপি...

সভাপতি দুই চোখে গুলিবিদ্ধ, সাধারন সম্পাদক বয়স্ক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফাঁকিবাজ

126

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

ফতুল্লা থানা বিএনপির রাজনীতিতে এখন নেতৃত্ব শুন্যতা বিরাজ করছে। বিশেষ করে দলের প্রধান তিন নেতাই এখন মাঠে নেই। সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু দুই চোখে গুলি বিদ্ধ হয়ে তিনি এখন হাসপাতালে। তার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি কবে নাগাদ দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাবেন সেটা পরিস্কার করে বলা যাচ্ছে না। নাকি আর কখনোই পাবেন না এ বিষয়েও পরিস্কার করে ডাক্তাররা কিছু বলতে পারছেন না। তবে এটা বলা যায় যে দলের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি মাঠে থাকতে পারছে না এটা নিশ্চিৎ।

দলের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট বারী ভুইয়া মাঠে থাকলেও তিনি বয়সজনিত কারনে এখন শারীরিক ভাবে অনেকটাই দূর্বল। তার পক্ষে মাঠে নেমে নেতৃত্ব দেয়া সহজ হবে না। তারপরেও তিনি সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন। কিন্তু বর্তমানে পুলিশ যেভাবে বিএনপির বর্মসূচিগুলিতে বাধা দিচ্ছে তাতে বারী ভুইয়ার পক্ষে মাঠে নেমে নেতৃত্ব দেয়া মোটেও সহজ হবে না। আর সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী এরই মাঝে একজন ফাঁকিবাজ নেতা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর আর তাকে মাঠে দেখা যায়নি।

এক কথায় রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর টার্গেট ছিলো দলের সাধারন সম্পাদকের পদ। কিন্তু তাকে এই পদ না দেয়ায় তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ¦ মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিনের উপর খুবই নাখোঁশ বলে জানা গেছে।

তবে রিয়াদের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলি জানিয়েছে, রিয়াদ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছেন। তিনি যদি দেখেন বর্তমান সরকারের বিদায় অনিবার্য্য হয়ে উঠেছে তখনই কেবল তিনি মাঠে নামবেন। অন্যথায় তিনি মাঠে নামবেন না। বরং ফতুল্লা থানা পুলিশের সঙ্গে তার একটি সমঝোতাও হয়েছে যে পুলিশ যেনো তাকে কোনো মামলার আসামী না করেন। কারন পরিস্থিতি না বুঝে তিনি মাঠে নামবেন না। তাই ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতৃত্বে আপাতত রিয়াদ চৌধুরীকেও পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে, দেশে বিএনপি এখন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই তারা মিছিল সমাবেশ করছেন। আর এসব মিছিল সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিশ্বের প্রভাবশালী রাস্ট্রগুলো তাদের চাঁপ বাড়িয়েই চলেছে। যুক্তরাস্ট্র র‌্যাবের উপর স্যাংশান দেয়ার পাশাপাশি তারা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি ভিসা নীতিও ঘোষনা করে রেখেছে।

এছাড়া, মার্কিন যুক্তরাস্ট্র সহ পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ^ আরো নানামুখী চাঁপ অব্যাহত রেখেছে। সর্বশেষ ব্রিক্স সম্মেলনে যোগ দেয়ার পর ভারতের সঙ্গে যে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয় সেটাও প্রমান হয়ে গেছে। মূলত ভারত ভেটো দেয়ার কারনেই ব্রিক্সে সম্পৃক্ত হতে পারলো না বাংলাদেশে।

অথচ ইথিওপিয়ার মতো দেশও ব্রিকেসের সদস্য হতে পেরেছে। তাই দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, আগামী নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। আর এই নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি সহ সব রাজনৈতিক দল। জোর করে এবার আওয়ামী লীগ টিকতে পারবে না। আর সেই ক্ষেত্রে বিএনপি রাস্ট্র ক্ষমতায় আসিন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই এই মুহুর্তে গুরুত্বপূর্ণ ফতুল্লা থানা বিএনপির শীর্ষ নেতারা মাঠে না থাকায় তৃনমূল পর্যায়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

উল্লেখিত তিন নেতার অবর্তমানে কারা নেতৃত্ব দিবেন  এ বিষয়টি এখনই ঠিক করে মাঠে না নামলে বিএনপির ঘাটি ফতুল্লাকে জাগিয়ে তোলা মোটেও সহজ হবে না বলেই মনে করেন এই দলের তৃনমূল নেতাকর্মীরা।