সন্দেহের দুই কারন—- মাসদাইরের আলী হোসেনকে কি হত্যা করা হয়েছে?

171
মাসদাইরের আলী হোসেনকে কি হত্যা করা হয়েছে?

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

গত ৮ মার্চ ফতুল্লা থানার মাসদাইর এলাকায় ওই এলাকার পরিচিত যুবক আলী হোসেন (৩৪) এর লাশ তার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় লাশটি ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলো। ফলে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়।

কিন্তু দুটি কারনে আলীহোসেনের পরিবারের সন্দেহ হয় সে আত্মহত্যা করেনি বরং তাকে হত্যা করা হয়। কারন ১) লাশটি এমন ভাবে ঝুলন্ত ছিলো যে তার এক পা ছিলো খাটে এবং অপর পা খাটের কিনারা দিয়ে প্রায় ছয় ইঞ্চি নিচে। ২) দরজা ছিলো খোলা।

তাই প্রত্যক্ষদর্শীরা মনে করেন তিনি যদি আত্মহত্যা করতেন তাহলে দুটো পা ই ঝুলন্ত অবস্থায় থাকতো। ফলে পরিস্কারই বুঝা যায় এটা একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ডে। তবে এ ব্যাপারে আত্মহত্যা বলে একটি এজাহার দায়ের করা হলেও বাস্তবে তাকে হত্যা করে লাশ তার স্ত্রীর ওরনা দিয়ে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে বলে মনে করেন আলী হোসেনের পরিবারের সদস্যরা।

এই হত্যাকান্ডের পর পুলিশের পরামর্শে আলী হোসেনের ভাই আবদুর রহমান বাদী হয়ে যে এজাহারটি দায়ের করেন তাতে তিনি স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্যের কারনে সে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে উল্লেখ করেছেন।

তিনি উল্লেখ করেছেন স্ত্রীর সাথে তার প্রায়ই মনোমালিন্য এবং ঝগড়াঝাটি হতো। তাই মৃত আলী হোসেনের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মনে করেন স্ত্রী রোজি (৩০) অন্য কারো সহায়তায় স্বামী আলী হোসেনকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখতে পারে। তাই এটি কি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকান্ডে এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝেও ব্যাপক সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তাই বিষয়টি তারা যথাযথ তদন্ত করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।