নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:
শেখ হাসিনার অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তারা জাতির সাথে বেঈমানী করবে। কারন বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তাই আমরা মনে করি সরকার হয়তো নানা ভাবে চেষ্ঠা করবে বিএনপিকে নির্বাচনে নিতে। কিন্তু আমরা বিশ^াস করি বিএনপি এবার আর সরকারের কোনো পাতা ফাঁদে পা দেবে না।
গতকাল নারায়ণগঞ্জ জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সভাপতি তরিকুল সুজন এসব কথা বলেন। তিন আরো বলেন বিএনপি যদি নির্বাচনে না যায় তাহলে সরকার বাধ্য হবে কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা ছাড়তে। তাই আমরা মনে করি আমাদের সকলের উচিৎ এই সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। আমি বিশ্বাস করি এবার জনগনের বিজয় নিশ্চিৎ। শিগগিরই এই ফ্যাসিস্ট সরকার জনদনের ক্ষমতা জনগনের হাতে ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
প্রসঙ্গত, দেশে জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র তিন মাস বাকী। এবারের এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বলছে তারা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবেন না। বিপরিতে আওয়ামী লীগ বলছে তাদের অধীনেই হবে এবারের নির্বাচন। ফলে দুই পক্ষই অনড় অবস্থানে রয়েছেন। তত্বাবদায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি আন্দোলন করে চলেছে এবং আগামী দিনে এই আন্দোলন আরো বেগবান হবে বলে তারা হুমকি দিচ্ছেন।
তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যে কিভাবে হবে কেউ সেটা বলতে পারছন না। অনেক বিশ্লেষকের মতে সরকার চাইছে বিএনপিকে বাদ দিয়ে আগামী নির্বাচন করে ফেলতে। কিন্তু সেটাযে এতো সহজ হবে না সরকারও তা জানে। তবে সরকার বিএনপিকে বাদ দিয়ে একটি অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচন করতে চায়। আর সেই নির্বাচনে যাতে ছোটো ছোটো দল অংশগ্রহন করে সেটাও চায় সরকার। এছাড়া বিপুল সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থীও যাকে এবারের এই নির্বাচনে অংশগ্রহন কওে সেটাও দেখাতে চায় সরকার। তাছাড়া জাতীয় পার্টি এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনে মনোনয়ন দেবে বলে জানা গেছে। তাই বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান যেহেতু জাতীয় পার্টির প্রার্থী তাই তার সঙ্গে এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে। তাই মেয়র আইভী যদি এবারের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন তাহলে জাতীয় পার্টির প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমানের সাথে তার প্রতিদ্বন্দ্বীতা হতে পারে বলে উপস্থিত অনেকেই মনে করেন।
