# প্রতি বছর নারী শিশু সহ বহু মানুষের মৃত্যু # খেয়া পারাপারে চরম অব্যবস্থাপনা...

শীতলক্ষা নদীতে দূর্ঘটনা রোধে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা

225
জনপ্রতিনিধি ও সরকারী কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ধর্না দিচ্ছেন তিনি

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জে বন্দর খেয়াঘাটে নদী পারাপারে দূর্ঘটনা রোধে সু-ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানিয়ে গত দুই বছরে ধরে জনপ্রতিনিধি আর প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিচ্ছেন বন্দরের মো: শহীদ উল্লাহ মিয়া। তিনি বন্দরের সকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যানদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে নদীতে দূর্ঘটনা রোধ করার আবেদন নিয়ে সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য হলো জনগনের স্বার্থে তার এই আন্তরিক প্রচেষ্টাকে কেউ পাত্তা দিচ্ছেন না বলে তিনি জানান। তিনি বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাটের দুই পারে দুটি সিড়িযুক্ত পল্টুন যুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছেন। এই খেয়া ঘাট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ মানুষ পারাপার হয়ে থাকেন। এদের অধিকাংশই নারী, শিশু, স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী এবং গার্মেন্টের মহিলা শ্রমিক। এতে প্রতি বছর দূর্ঘটনার শিকার হয়ে বহু মানুষ প্রান হারাচ্ছে। পাশাপাশি খেয়া পারাপারে সৃষ্টি হচ্ছে চরম বিশৃংখলার।

এছাড়াও নদী পারাপারে নৌকার মাঝিরা সিন্ডিকেট করে অধিক হারে যাত্রী তুলছে এবং বিশৃংখল ভাবে নৌকা চালাচ্ছে। এতে মাঝ নদীতে গিয়ে প্রায়ই অনেক নৌকা ডুবে যাচ্ছে। এছাড়া বড় বড় কার্গো জাহাজ এবং বালুর বাল্কহেডগুলোর বেপরোয়া চলাচলের ফলে দূর্ঘটনায় প্রান হারাচ্ছে বহু মানুষ। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উচিৎ অবিলম্বে গুরুত্বপূর্ণ এই খেয়াঘাটটিতে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা।

আর এ দাবি নিয়ে মো: শহীদ উল্লাহ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান, পল্টুন বিভাগের ম্যানেজার শাহজাহান, চীফ ইঞ্জিনিয়ার মাঈদুল ইসলাম (জেটি বিভাগ), চীফ ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম (পল্টুন বিভাগ), ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সালাম এবং বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামালের কাছে বার বার ধর্না দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান।

তিনি আরো জানান, তার এই প্রচেষ্টাকালিন সময়ে তিনজন জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তিনজনের কাছেই বার বার গিয়েছেন। এরা হলেন জসিম উদ্দিন, মোস্তাইন বিল্লাহ এবং মঞ্জুরুল হাফিজ। তারা সকলেই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নাই। ফলে এই ঘাটে অব্যাহতভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে এবং মানুষ আহত-নিহত হওয়া হচ্ছে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এতে প্রতিয়মান হয় সরকারী কর্মকর্তারা মোটেও নিষ্ঠার সহিত তাদের দায়িত্ব পালন করছেন না। যদি করতেন তাহলে তারা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতেন না। তাই তিনি অবিলম্বে এই সমস্যা সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।