যুক্তরাস্ট্র এ দেশে কেবল একটি সুষ্টু নির্বাচন চাইছে, অন্য কিছু নয়...

শিগগিরই রাজপথে হবে ফয়সালা

148

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ: 

দেশে গণআন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন ঘটবে বলে মনে করেন ফতুল্লা থানা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তুমুল আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এবার এই সরকারের বিদায় ঘটবে বলে তারা মনে করেন। পরিস্থিতি যেখানে গিয়ে ঠেকেছে তাতে আর কিছু দিনের মাঝে সরকারকে পালানোর পথ খুঁজতে হবে। কারন সরকারের উপর দেশের সর্ব স্থরের সাধারন মানুষে ভয়ংকর রকমের বিক্ষুব্দ হয়ে আছে।

গতকাল এই বিষয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সাথে আলাপকালে তারা এই ধরনের মতামত ব্যাক্ত করেন। জানা গেছে এই মুহুর্তে ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অঙ্গ দলগুলির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সর্বাত্বক আন্দোলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।

এদিকে এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলামের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া আর সবাই একটি অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচন চাইছে। মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলছেন। সরকারী দলতো একেক সময় একেক রকম কথা বলছেন।

কিন্তু আমরা বলতে চাই আমাদের নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেছেন, এদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের সাথে গণতন্ত্রকামী বিশ্বও বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য সোচ্চার হয়ে উঠেছে। তিনি আমাদেরকে এই সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্বক আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমি মনে করি যুক্তরাস্ট্র যে ভিসা নীতি ঘোষনা করেছে তাতে সারা বিশ্বে প্রমান হয়েছে এই সরকার একটি অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী সরকার।

ফলে এ দেশের মানুষের আশা আকাংখার সাথে যুক্তরাস্ট্রের চিন্তাধারা মিলে গেছে। তাই আমরা মনে করি সরকারের উচিৎ দেশের আরো ক্ষতি হওয়ার আগেই তত্বাবদায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। অন্যথায় দেশের মানুষ তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের বিদায় ঘটাবে ইনশাআল্লাহ।

এদিকে, এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, যুক্তরাস্ট্র বিশেষ কোনো দলের বিরুদ্ধে এই ভিসা নীতি ঘোষনা করে নাই। তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাইছে। তাই আমি মনে করি যুক্তরাস্ট্র যেটা চাইছে এটা কোনো দলের পক্ষে বা বিপক্ষে নয়। বরং তারা চাইছে এ দেশে একটি অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচন। কিন্তু সরকার জানে যে দেশে যদি কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে তারা মোটেও জিততে পাবে না। যার ফলে তারা আগের মতোই কারচুপির মাধ্যমে রাস্ট্র ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে। কিন্তু এতে তারা সফল হবে না বলেই আমি মনে করি। কারন সরকার জোর করে ক্ষমতায় থেকে অর্থনৈতিক ভাবে দেশকে একেবারে পঙ্গু করে ফেলেছে। দ্রব্যমূল্য আর বিদ্যুৎ সংকটের কারনে দেশের মানুষ এখন একেবারেই দিশেহারা। তাই দেশের মানুষ এবার আর এই সরকারকে নতুন করে কোনো কারচুপির নির্বাচন করার সুযোগ দেবে না বলেই আমি মনে করি। এবার এই সমস্যার সমাধান রাজপথেই হবে ইনশাআল্লাহ।

একই বিষয়ে ফতুল্লার সন্তান ও জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক সহিদুল ইসলাম সহিদ বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে এমন একটি অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে যে ঘরে ঘরে এখন দূর্ভিক্ষাবস্থা বিরাজ করছে। তাই আরো একবার যদি এই সরকার ক্ষমতায় চলে আসে তাহলে দেশে চরম দূর্ভিক্ষ লেগে যাবে। না খেয়ে মারা যাবে দেশের লাখ লাখ মানুষ।

তিনি আরো বলেন, দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলছেন। আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন ইউরোপ আমেরিকা সহ গণতন্ত্রকামী বিশ্ব বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির যে আন্দোলন তার সাথে একাত্বতা প্রকাশ করছে। অন্যথায় তারা এভাবে সোচ্চার হতো না বা কোনো ভিসা নীতির কোনো দরকার পরতো না। তিনি আরো বলেন, মার্কিন ভিসা নীতির কারনে আগামী দিনে যে বিষয়টি ঘটবে সেটি হলো জামাত, জাতীয় পার্টি, চরমোনাই সহ কোনো দলই আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনে যেতে চাইবে না। কারন আওয়ামী লীগ যে নির্বাচন করবে সেটা হবে শতভাগ কারচুপির নির্বাচন। তাই যে দলগুলি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে সেই দলের নেতারা এবং তাদের পরিবারও ভিসা নীতির আওতায় পরবে। তাই কেউ জেনেশুনে নিজের এবং তাদের পরিবারের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চাইবে না। তবে আমি মনে করি, এ দেশে গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন তা আমাদেরই করতে হবে। জননেতা তারেক রহমান আমাদেরকে যেভাবে নির্দেশ দেবেন আমরা সেভাবে ঝাপিয়ে পরবো। গণআন্দোলনের মাধ্যমেই এ দেশে আমরা আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ।

ফতুল্লা থানা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক মোখলেসুর রহমান বলেন, এটা এখন সারা বিশ্বের মানুষ জানে যে, এই সরকার দিনের ভোট রাতে করে এবং কোনো রকম ভোট না করে জোর করে বার বার রাস্ট্র ক্ষমতায় যাচ্ছে। তাই দেশের জনগনের কাছে এই সরকারের কোনো জবাবদীহিতা নেই। আর জবাবদিহীতা নেই বলেই তারা ইচ্ছা মতে লুটপাট চালাচ্ছে, সিন্ডিক্যাট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। কিন্তু এসব আর কতোদিন? অনেকদিনতো হলো। এখন তাদের যাবার পালা। পৃথিবীর কোনো স্বৈরশাসকই জোর করে বেশিদিন রাস্ট্র ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে নাই। এই সরকারও আর টিকে থাকতে পারবে না। সরকার বিরোধী আন্দোলনের জন্য ফতুল্লা থানা বিএনপি সর্বাত্বক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলেও তিনি জানান।