ঢাকার মহাসমাবেশ সফল করতে না.গঞ্জ জেলা বিএনপির ব্যাপক প্রস্তুতি...

“শিগগিরই দেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পাবে ইনশাআল্লাহ”

182
“শিগগিরই দেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পাবে ইনশাআল্লাহ”

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করেন, বেশ কয়েকটি কারনে দেশে এবার ভয়ংকর গণবিস্ফোরন ঘটবে। তুমুল আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এবার এই সরকারের বিদায় ঘটবে। শিগগিরই দেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পাবে ইনশাআল্লাহ। পরিস্থিতি যেখানে গিয়ে ঠেকেছে তাতে বর্তমান সরকারের বিদায় ঘটানোর জন্য বিএনপি একাই যথেষ্ঠ। কারন সরকারের উপর দেশের সর্বস্তরের সাধারন মানুষে ভয়ংকর রকমের বিক্ষুব্দ হয়ে আছে। গতকাল এই বিষয়ে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সাথে আলাপকালে তারা এই ধরনের মতামত ব্যাক্ত করেন। ঢাকায় শুক্রবারের মহাসমাবেশ সফল করার জন্য পুলিশের ধরপাকর সত্বেও তারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানান।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটুর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, বিএনপির যেকোনো কর্মসূচি পালন করার জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত রয়েছি। তাই ২৭ জুলাই রাজধানীর কর্মসূচি পালন করার জন্যও আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহন করেছি। তাই ঢাকার শুক্রবারের এই মহাসমাবেশে জনতার ঢল নামবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, আমাদের নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান বলেছেন, এদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের সাথে গণতন্ত্রকামী বিশ্বও বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য সোচ্চার হয়ে উঠেছে। তিনি আমাদেরকে এই সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্বক আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এরই মাঝে লাগাতার কর্মসূচি পালন করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। তাই আমরা মনে করি সরকারের উচিৎ দেশের আরো ক্ষতি হওয়ার আগেই তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। অন্যথায় দেশের মানুষ তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের বিদায় ঘটাবে ইনশাআল্লাহ।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম বলেন, দেশের মানুষ তাদের সব ধরনের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবার জন্য মাঠে নেমেছেন। আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন ইউরোপ আমেরিকা সহ গণতন্ত্রকামী বিশ্ব বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির যে আন্দোলন তার সাথে একাত্বতা প্রকাশ করছে। এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নেই বলেই গনতান্ত্রিক বিশ্ব সোচ্চার হয়ে উঠেছে। অন্যথায় তারা এভাবে সোচ্চার হতো না বা কোনো ভিসা নীতির কোনো দরকার পরতো না। আমরা মনে করি এই ভিসা নীতির কারনে এবং জনগনের তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে খুব শিগগিরই এই ভোট চোর সরকারের পতন ঘটবে ইনশাআল্লাহ। যে আন্দোলনে এরই মাঝে জনগন সম্পৃক্ত হয়েছে সেই আন্দোলনে এই স্বৈরাচার সরকারের বিদায় ঘটবে খুব শিগগিরই। আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে আজকের মহাসমাবেশে বিশাল শোডাউন করবো ইনশাআল্লাহ।

এদিকে এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ বলেন, যুক্তরাস্ট্র বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাইছে। কিন্তু সরকার জানে যে দেশে যদি কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে তারা মোটেও জিততে পারবে না। যার ফলে তারা আগের মতোই কারচুপির মাধ্যমে রাস্ট্র ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে। কিন্তু এতে তারা সফল হবে না বলেই আমি মনে করি। কারন সরকার জোর করে ক্ষমতায় থেকে অর্থনৈতিক ভাবে দেশকে একেবারে পঙ্গু করে ফেলেছে। দ্রব্যমূল্য সহ নানা ব্যার্থতার কারনে দেশের মানুষ এখন একেবারেই দিশেহারা। তাই দেশের মানুষ এবার আর এই সরকারকে নতুন করে কোনো কারচুপির নির্বাচন করার সুযোগ দেবে না বলেই আমি মনে করি। এবার এই সমস্যার সমাধান রাজপথেই হবে ইনশাআল্লাহ। আজকের মহাসমাবেশে কোটি জনতার ঢল নামবে ইনশাআল্লাহ।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বলেন, মার্কিন ভিসা নীতির কারনে আগামী দিনে যে বিষয়টি ঘটবে সেটি হলো জামাত ও জাতীয় পার্টি সহ কোনো দলই আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনে যেতে চাইবে না। কারন আওয়ামী লীগ যে নির্বাচন করবে সেটা হবে শতভাগ কারচুপির নির্বাচন। তাই যে দলগুলি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে সেই দলের নেতারা এবং তাদের পরিবারও ভিসা নীতির আওতায় পরবে। তাই কেউ জেনেশুনে নিজের এবং তাদের পরিবারের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চাইবে না। তবে আমি মনে করি এ দেশে গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন তা আমাদেরই করতে হবে। জননেতা তারেক রহমান আমাদেরকে যেভাবে নির্দেশ দেবেন আমরা সেভাবে ঝাপিয়ে পরবো। গণআন্দোলনের মাধ্যমেই এ দেশে আমরা আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ।