বিদ্যুৎ খাতে অস্থিরতা, বিপাকে সরকার...

লোডশেডিংয়ের কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন

64
লোডশেডিংয়ের কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ শহর সহ সারা দেশেই চলছে ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকট। আর এই বিদ্যুৎ সংকটের কারনে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে সরকারী দলের লোকজন। তাদেরকে রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে কথা শুনতে হচ্ছে। তাই তারা আশায় আছেন কবে শীত নামবে।

কেননা শীতে আর যাই হোক রাতে ফ্যান ছাড়তে হবে এবং তাতে রাতের ঘুম নষ্ট হবে না। এই মুহুর্তে সারা নারায়ণগঞ্জে মাঝ রাতেও প্রতি ঘন্টায় বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করছে। এতে গরমে ঘুমাতে পারছে না মানুষ। ফলে সাধারন মানুষ সরকারের তীব্র সমালোচনা করছে।

কারন এরইমাঝে মিডিয়ায় নানা ভাবে প্রকাশ হয়েছে যে বিগত বছরগুলিতে সরকার কুইক রেন্টালের বিভিন্ন ইউনিটগুলিকে বসিয়ে বসিয়ে ভাড়া দিয়েছে। আর এই টাকার পরিমান নব্বই হাজার কোটি। বলা হচ্ছে, এক ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ না করেও নব্বই হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এক কথায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে সীমাহীন লুটপাট করা হয়েছে। তাই বিদ্যুতের অভাবে বিক্ষুব্দ হয়ে উঠেছে সর্বস্তরের সাধারন মানুষ।

এছাড়া বিদ্যুৎ সংকটের কারনে কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে মারাত্মক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতির উপর। কলকারখানা না চললে সরাসরি আয় কমবে গরীব খেটে খাওয়া মানুষদের। তাই সব কিছু মিলিয়ে এই সময়ে এসে বিদ্যুৎ সংকট চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে সরকার এতোদিন আসলে উন্নয়নের নামে কি করেছে?

এদিকে গতকাল শহরের মুদি দোকানদার মো: রিপন মিয়া বলেন, সারাদিন দোকানদারী করি, দোকানে বসে দেখতে পাই এক ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলে আর এক ঘন্টা থাকে না। তাই বিদ্যুতের অভাবে গরমে হাসফাস করতে হয়। বিষয়টি কেবল কষ্টকরই নয় বরং চরম বিরক্তিকর।

তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগেও সরকারের মন্ত্রী এমপিরা বিদ্যুৎ নিয়ে বড়াই করতেন। তারা বলতেন, ফেরি করে নাকি বিদ্যুৎ বিক্রি করতে হবে। আরো কতো উন্নয়নের গল্প। বিদ্যুৎ রপ্তানীর কথাও তারা বলতেন। কিন্তু এখন কি হচ্ছে? এখন কেনো এমন ভয়াবহ সংকট হলো? আসলে উন্নয়নের নামে লুটপাট হলে এমনই হওয়ার কথা। বিদ্যুৎ সংকটের কারনে মানুষ কষ্টে আছে। তাই সরকারকে এর মূল্য দিতে হবে বলে আমরা মনে করি।