লাফ দিয়ে প্রাণে রক্ষা পেলেন খোরশেদ

137

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

আমি ঢাকা থেকে লঞ্চে উঠেছি। এ স্থানে আসার পর পিছন থেকে একটি শিপ এসে আমাদের লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। আমি লঞ্চের নিচের কেবিনে ছিলাম এবং অনেক মহিলারাও ছিলো। পিছনে শিপ দেখেই আমি দৌড়ে লঞ্চের উপরে উঠি এবং সেখান থেকে আমিসহ আরও ৫/৭ জন নদীতে লাফ দেই। একটি বালুবাহী ট্রলার বা বাল্কহেডের লোকজন আমাদের উদ্ধার করেছে।

কথাগুলো বলছিলেন শীতলক্ষ্যা নদীর সৈয়দপুরের আল আমিন নগর এলাকায় এম ভি রূপসী নামের জাহাজের ধাক্কায় মুন্সিগঞ্জগামী অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া এম ভি আশরাফ উদ্দিন নামে লঞ্চটির বেঁচে যাওয়া যাত্রী খোরশেদ। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার দক্ষিণ চর মুসাপুর এলাকার কালু বেপারীর পুত্র।

তিনি আরও বলেন, লঞ্চটিতে ৫০ থেকে ৬০ জন লোক ছিলো। মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধরাও ছিলো লঞ্চটিতে। ১০/১৫ জন যাত্রী লাফ দিয়ে নদী সাতঁরে পার হতে পেরেছে বলেও জানান তিনি।

বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য জানান, একটি জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে গেছে। এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

এদিকে, নৌ পুলিশের তৎপরতা মেঘনা নদী থেকে ঘাতক জাহাজ এম ভি রূপসীকে জব্দ করা হয়েছে।