রিয়াদ-রনির বিরোধের ফায়দা হাসিলের চেষ্টায় তৃতীয় পক্ষ!

153
রিয়াদ-রনির বিরোধের ফায়দা হাসিলের চেষ্টায় তৃতীয় পক্ষ!

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

এই মুহুর্তে ফতুল্লায় বিএনপির রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি নাম হলো রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী এবং মশিউর রহমান রনি। এই দুইজনই সারা জেলায় বিএনপির রাজনীতিতে পরিচিত নাম। এদের মাঝে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আর মশিউর রহমান রনি নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক।

দুইজনেই অতীতে ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। রনি জেলা ছাত্রদলের বিগত কমিটির সভাপতি ছিলেন। এছাড়া রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ছিলেন। ফতুল্লার রাজনীতিতে দুই নেতারই কর্মী বাহিনী রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো এই দুই নেতা এতোদিন একে অপরকে সহ্য করতে পারতেন না।

তাই অনেকে মনে করেন, শেষ পর্যন্ত এরা দুইজন একে অপরকে ঘায়েল করতে গিয়ে নোংরা খেলায় মেতে উঠেছিলেন। যদিও তারা দুজনের কেউই নোংরা কাজের কথা স্বীকার করেননি। সম্প্রতি রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর পরিবার এবং মশিউর রহমান রনির পরিবার নিয়ে রাতের অন্ধকারে নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানী ঢাকায় পোষ্টার লাগানোর ঘটনা ঘটে। এতে নানা রকম নাটকীয়তার জন্ম হয়।

পরে জানা যায় আসলে রিয়াদ আর রনির বিরোধকে কাজে লাগিয়ে এই নোংরা খেলার সুযোগ নেন তৃতীয় একটি পক্ষ। যারা নাকি রিয়াদ আর রনির উত্থানকে মেনে নিতে পারছেন না। মূলত ওই তৃতীয় পক্ষটিই রিয়াদ আর রনির বিরোধ যাতে আরো বেড়ে যায় সেই অপতৎপরতায় মেতে উঠেন। পোষ্টার লাগানোর কাজটিও তারাই করেন বলে দুই নেতা বুঝতে পারেন।

বিশেষ করে রিয়াদ চৌধুরীর মায়ের মৃত্যুর পর রনি সহানুভুতি জানাতে রিয়াদের বাড়িতে ছুটে যাওয়ার পর একেবারে পাল্টে যায় চিত্র। রিয়াদের বাসায় রনি যাওয়ার পর এই প্রসঙ্গে কথা উঠলে রনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন তিনি রিয়াদ বা তার পরিবারের বিরুদ্ধে কোনো পোষ্টার লাগাননি। একই সময় রনির বিরুদ্ধে পোষ্টার লাগানোর কথা অস্বীকার করেন রিয়াদও।

তখন তারা মন্তব্য করেন হয়তো তাদের নিয়ে খেলছে তৃতীয় একটি পক্ষ যাদের নাকি ফতুল্লার রাজনীতিতে রিয়াদ বা রনির মতো কোনো কর্মী বাহিনী নেই। ওই পক্ষটি বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে দেয়া একজন ধনাঢ্য ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ রয়েছে। মূলত ওই ব্যবসায়ীর তদবিরেই দুস্কৃতিকারীরা থানা বিএনপির বিভিন্ন পদে আসিন হয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন বলে জানা গেছে। তারাই এ দুই নেতার বিরোধের সুযোগ নিয়ে অপতৎপরতায় লিপ্ত ছিলেন বলে অনেকে মনে করেন।

এদিকে, সূত্র জানিয়েছে, রনি জেলা ছাত্রদল এবং যুবদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসিন হলেও সে স্থানীয় রাজনীতিতে রিয়াদের চেয়ে অনেক জুনিয়র। তাই রনির বিরুদ্ধে কোনো তৎপরতা রিয়াদকে মানায় না। আর রনিরও উচিৎ তার চেয়ে অনেক সিনিয়র একজন নেতা হিসাবে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে সম্মান করা। এছাড়া এই দুইজনকে নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা মনে করেন তাদের উচিৎ আরো সতর্কতার সহিত রাজনীতি করা এবং একে অপরকে সহযোগীতা করা। আর এটা করা হলে রাজনৈতিক ভাবে লাভবান হবেন দু’জনেই।