নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান রনির বিরুদ্ধে একটি গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা ভুয়া গোয়েন্দা রিপোর্ট পাঠানোর খবরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সর্বত্র ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে রনির জন্মস্থান ফতুল্লা থানা এলাকার সাধারন মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কারন বিএনপির রাজনীতিতে রনি একজন উদীয়মান জনপ্রিয় যুবদল নেতা। তিনি বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন এবং বিগত সরকারের গডফাদার এমপি শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে সাহসীকতার সহিত লড়াই করেছেন যা কিনা একটি প্রমানিত সত্য এবং তার ত্যাগ স্বীকারের কথা জানেন নারায়ণগঞ্জের সর্ব স্থরের জনগন। তখন তিনি নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মাসের পর মাস কারা বরন করেছেন। তাকে রিমান্ডে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। গুম এবং ক্রসফায়ার করারও চেষ্ঠা করা হয়েছে।
অথচ সেই রনিকেই এখন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মিথ্যা ও বানোয়াট গোয়েন্দা রিপোর্ট দিয়ে ঘায়েল করার চেষ্ঠা করছেন তারই দলের আড়াইহাজার আসনের একজন এমপি প্রার্থী। এই এমপি প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও রয়েছেন এবং নিজে এরই মাঝে একজন শীর্ষ চাঁদাবাজ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছেন। ৫ আগষ্টের পর নারায়ণগঞ্জের একটি বড় গার্মেন্ট শিল্প মালিকের কাছে আড়াইহাজারের ওই এমপি প্রার্থী দশ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিলেন। যা কিনা জাতীয় এবং স্থানীয় গণমাধ্যমে ফলাও করে রিপোর্ট হয়েছিলো। ওই নেতাই এখন রনিকে ঘায়েল করার জন্য উঠেপরে লেগেছেন। একটি গোয়েন্দা সংস্থার একজন হিন্দু কর্মকর্তাকে দিয়ে রনির বিরুদ্ধে এই মিথ্যা বানোয়াট গোয়েন্দা রিপোর্ট তৈরী করে পাঠানো হয়েছে বলে নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকরা জানতে পেরেছেন। ফলে গতকাল দৈনিক সোজাসাপটা সহ আরো কয়েকটি অনলাইন পোর্টোলে এই রিপোর্ট প্রকাশ হলে নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
কারন সমাজে মশিউর রহমান রনির যে ইমেজ সেটা খুবই ইতিবাঁচক। এই জেলায় যুবদল, ছাত্রদল এবং স্বোচ্ছাসেবক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মাঝে রনি একজন অন্যতম জনপ্রিয় এবং ক্লিন ইমজের নেতা। তাই তাকে একজন শীর্ষ চাঁদাবাজ হিসাবে আখ্যায়িত করে গোয়েন্দা রিপোর্ট তৈরী করে তাকে প্রশাসনিক ভাবে হয়রানী করার পায়তারা শুরু করার খবরে সাধারন মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
বিশেষ করে ফেসবুক সহ সোস্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অনেকেই জানতে চায় রনির বিরুদ্ধে কেনো এই ষড়যন্ত্র? ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তার কাছে কি প্রমান আছে নারায়ণগঞ্জবাসী সেটা জানতে চায়। রনি কবে কার কাছে চাঁদা চেয়েছে? তার বিরুদ্ধে কোনো থানায় কোনো অভিযোগ নেই কেনো? কেনো কোনো গণমাধ্যমে কোনো রিপোর্ট নেই? তাই এই গোয়েন্দা কর্মকর্তার কর্মকান্ড নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। প্রশাসনের উচিৎ এই গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে অপসারন করা এবং তার বিরুদ্ধে খোঁজ খবর নেয়া।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে রনিকে নিয়ে এসব রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর ফেসবুকে শত শত মানুষ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন এবং রনির পক্ষ্যে তাদের শক্ত সমর্থন ব্যাক্ত করেছেন। তারা এই ধরনের ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন লিখেছেন, আমরা রনির বিরুদ্ধে এই ধরনের রিপোর্টের খবরে চরম ভাবে চিন্তিত এবং ষড়যন্ত্রকারীদের এসব কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা মনে করি বিএনপির কেন্দ্রেীয় নেতৃত্বের উচিৎ আড়াইহাজারের ওই নেতার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া। রনির বিরুদ্ধে নয়। রনি কেমন নেতা আমরা সেটা ভালো করেই জানি। আমরা রনির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে মামুন ইসলাম লিখেছেন, রনি ভাই দলের দূর্দিনের কর্মী, জিয়ার অকুতোভয় সৈনিক। তার বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র আমরা বরদাস্ত করবো না। বরং ষড়যন্ত্রকারীদেরকে আমরা দাত ভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছি।
তাকে নিয়ে ফতুল্লার শিল্পপতি কাজী এনামুল ফেরদৌস মনা বলেছেন রনি আমাদের সন্তান তুল্য। সে চাঁদাবাজী করাতো দূরের কথা আমাদেরকে আরো চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। ৫ আগষ্টের পর অতন্দ্র প্রহরির মতো রনি আমাদের পাশে দাড়িয়েছেন। তাই আজ যারা রনিকে চাঁদাবাজ বানাতে চায় তারা নিজেরাই চাঁদাবাজ। হয়তো রনির কারনে তারা চাঁদাবাজী করতে পারছে না। আর এ কারনেই গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে ব্যাবহার করে উল্টো তাকেই চাঁদাবাজ বানাতে চাইছে। আমরা এমন ন্যাক্কারজনক কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনকে এসব বিষয়ে সজাগ থাকার আহবান জানাই।



