“সততা, দূরদৃষ্টি ও পরিশ্রমই এতো উন্নয়নের কারন...

মেয়র আইভীর উচ্ছসিত প্রশংসা করলেন সিদ্ধিরগঞ্জের মানুষ

465

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

সত্যিই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় নজিরবিহীন উন্নয়ন করেছেন এই সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী। নারায়ণগঞ্জ শহরতো বটেই বাকী দুটি থানা এলাকা তথা সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দরে নারায়ণগঞ্জের এই নারী মেয়র এতো উন্নয়ন করেছেন যে একেবারে পাল্টে দিয়েছেন ওসব এলাকার চেহারা। ওইসব এলাকার রাস্তাগুলি তিনি নির্মান করেছেন অনেকটা উন্নত বিশ্বের রাস্তাঘাটের আদলে। তাই মেয়র আইভীর উন্নয়ন নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ এবং বন্দরের সাধারন মানুষের কোনো প্রশ্নই নেই। গত কয়েকদিন এই দুটি থানা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, একেবারে পাড়া মহল্লার অলিতেগলিতে রাস্তা এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন মেয়র আইভী।

শুধু তাই নয় সিদ্ধিরগঞ্জ এবং বন্দর উভয় থানা এলাকায় দূরপাল্লার রাস্তাগুলি তিনি বেশ প্রশস্ত করে নির্মান করেছেন। রাস্তার পাশে রোপন করেছেন বৃক্ষ। একজন জনপ্রতিনিধির দূরদৃষ্টি না থাকলে এভাবে উন্নয়ন করা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন ওইসব এলাকার সাধারন মানুষ। গতকাল সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন কালে সাধারন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা মনে করেন মেয়র আইভীর পরিশ্রম এবং সততার কারনেই তাদের এলাকায় এতো উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে। তারা স্থানীয় কাউন্সিলরদের ছাপিয়ে মেয়র আইভীর প্রশংসা করেন সবাই।

আলাপকালে জালকুড়ি এলাকার বাসিন্দা মহিউদ্দিন গাজী বলেন, মেয়র আইভী গোটা সিদ্ধিরগঞ্জ জুড়ে এতো রাস্তা নির্মান করেছেন যে গোটা এলাকাটি আপনি বেশ স্বাচ্ছন্দে যেকোনো যানবাহন নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। মেয়র পূরনোনো রাস্তাগুলি ঠিক করার পাশাপাশি বহু নতুন রাস্তা নির্মান করেছেন। নতুন রাস্তা সহ পূরনো রাস্তাগুলিকে তিনি বেশ প্রশস্থ করেছেন। তাই যোগাযোগের ক্ষেত্রে সিদ্ধিরগঞ্জের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। আর সিদ্ধিরগঞ্জ খালের উন্নয়নতো রয়েছেই। তাই মেয়র আইভীকে উন্নয়নের জননী বললে কোনো ভুল হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এদিকে এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের দশপাইপ এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, আসলে কোনো জনপ্রতিনিধির মাঝে যদি সততা থাকে তাহলে তার পক্ষে এলাকার উন্নয়ন করা সম্ভব। তিনি বলেন আমি সিদ্ধিরগঞ্জে বসবাস করলেও ফতুল্লায় আমার ব্যবসা রয়েছে। অথচ উন্নয়নের দিক থেকে স্বিদ্ধিরগঞ্জের তুলনায় অনেক পিছিয়ে পরেছে ফতুল্লা। কারন ফতুল্লায় সিদ্ধিরগঞ্জের মতো কোনো মেয়র নেই। তাই প্রতিদিন যখব বাড়ি থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাই তখন ফতুল্লা এলাকায় ঢুকলেই ভাঙ্গা রাস্তা আর যানজটের কবলে পরতে হয়। তাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসতে যেতে ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। তাই আমি মনে করি মেয়র আইভীর উচিৎ ফতুল্লাকেও দ্রুত সিটি করপোরেশনে নিয়ে উন্নয়ন করা। অন্যথায় ফতুল্লা এলাকাটি সত্যিই খুব অবহেলিত থেকে যাচ্ছে।

অপরদিকে, বন্দর থানা এলাকায়ও আরো আগেই ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। তাই মেয়র আইভী এসব উন্নয়নের কারনেই সাধারন মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছেন বলে এসব এলাকার বাসিন্দারা মনে করেন।