মুকুলকে দলে ফিরালেন মাসুদ; আন্তরিক ভাবে নামবেনতো?

83

স্টাফ রিপোর্টার :
বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং বিএনপির জনপ্রিয় নেতা আতাউর রহমান মুকুল হলেন এডভোকেট আবুল কালামের চাচাতো ভাই। এক সময় এই মুকুলই ছিলেন এডভোকেট আবুল কালামের ডান হাত। কিন্তু বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে দলীয় স্বিদ্ধান্ত অমান্য করায় এবং দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করায় তাকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হয়েছিলো। কিন্তু শত চেষ্টা করেও এতোদিন তার বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করানো যায়নি। আর তার ভাই সাবেক এমপি আবুল কালাম নিজেও গত পনেরো বছর দলের সব ধরনের কর্মকান্ড থেকে দূরে ছিলেন। তিনি অুসস্থ্যতার ভান করে ঘরে শুয়ে ছিলেন এবং মাঝে মাঝে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করানোর খবর ছড়াতেন। তিনি হাটতেন লাটিতে ভর করে। বলতেন রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন কারন রাজনীতি করার মতো শারীরিক সক্ষমতা তার নেই। যার ফলে আবুল কালাম এবং মুকুল দুই জনেই বিএনপির রাজনীতি থেকে ছিটকে পরেছিলেন। আর মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খান এবং আবু আল ইউসুফ খান টিপু দুই জনেই কালাম পরিবারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। কিন্তু এবারের নির্বাচনে যখন নারায়ণগঞ্জর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জানাকে বিএনপির মনোনয়ন দিলো তখনই সকল প্রকারের পূরনো বিভেদ ভুলে সাখাওয়াৎ, টিপু. কালাম মিলে মাঠে নেমেছেন মাসুদুজ্জামানকে ঠেকাতে। কিন্তু তারা আতাউর রহমান মুকুলের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করাতে পারেননি। তবে মাসুদুজ্জামান সম্প্রতি এই বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করার জন্য চেষ্ঠা করলে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মুকুলের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। ফলে মুকুলকেও মাসুদুজ্জামানের পক্ষে মাঠে নামতে দেখা গেছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের বিএনপির রাজনীতির সাথে জরিত অনেকেই মুকুলকে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। তারা প্রশ্ন করছেন শেস পর্যন্ত মুকুল মাসুদুজ্জমানের সঙ্গে থাকবেনতো? আর থাকলেও আন্তরিক ভাবে মাঠে নামবেনতো। যদিও কালাম ও তার পুত্র আশার সঙ্গে বহু বছর ধরেই মুকুলের বিরোধ চলে আসছে। তারপরেও মুকুল তার সঙ্গে বেঈমানী করবেন কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে। যদিও নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক সচেতন মহল মনে করেন, মাসুদুজ্জামানের পক্ষে দিনে দিনে যেভাবে গনজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে তাতে তিনি এবারের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। কোনো শক্তিই তার বিজয় ঠেকাতে পারবে না। কারন নারায়ণগঞ্জের সকল শ্রেনীর ভোটাররা এরই মাঝে মাসুদুজ্জামানকে ভোট দেয়ার স্বিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছেন। এরই মাঝে এই শহরের বিপুল সংখ্যক যে হিন্দু ভোটার রয়েছেন তারাও মাসুদুজ্জামানের প্রতি সমর্থন ব্যাক্ত করেছেন। তাই ষড়যন্ত্র করে কোনো মতেই এবার তার বিজয় ঠেকানো যাবে না। তারপেরও আতাউর রহমান মুকুল কি করেন সেদিকে থাকবে বিএনপির নেতাকর্মীদের নজর।