মিল থেকে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৩জন গ্রেফতার

84

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

গত ১লা অক্টোবর বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে দাফন করা হয়েছে ইউসুফ হাওলাদার কালু (৩০)’র লাশ। তবে তার লাশ উদ্ধারের পর সুরুতহাল রিপোর্ট মোতাবেক বলা হয়েছে তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাই সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই তৌহিদুজ্জামান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় এসআই ইয়াউর রহমানকে। এরই মাঝে ইয়াউর রহমান নিহত ইউসুফ হাওলাদার কালুকে হত্যার দায়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেন। তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গতকাল এসআই ইয়াউর রহমান নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজকে এ তথ্য জানান।

প্রসঙ্গত, ৬দিন আগে নিখোঁজ হয়েছিলো কালু। সে চাষাঢ়া রেল লাইন সংলগ্ন আল আমিনের ভাঙ্গারির দোকানে কাজ করতো। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলির একটি মিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। পরে বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে তাকে দাফন করে পুলিশ।

তবে কালুর মা নূরজাহান বেগম জানান কালুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাশের ছবি দেখে তারা তাকে সনাক্ত করতে পেরেছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে মামলা করতে চাইলেও পুলিশ তাদেরকে কোনো রকম সহায়তা করছে না, পুলিশ বলছে এরই মাঝে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করা হয়েছে।

নূরজাহান বেগম আরো জানান, ইউসুফ হাওলাদার কালু’র গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালি জেলার পটুয়াখালি থানার চরজৈনকাঠি গ্রামে। তার পিতার নাম আলম হাওলাদার। কালু চাষাঢ়া রেল স্ট্যাশন সংলগ্ন আল আমিনের ভাঙ্গারির দোকানে কাজ করতো। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সে নিখোঁজ হয়। পরে ১ অক্টোবর শনিবার পাঠানটুলি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ পাঠানটুলি কবরস্থানে তাকে দাফন করে।

কালুর মা জানিয়েছেন, কালুর একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার নাম ফাতেমা। কালুর স্ত্রী কয়েক বছর আগে অন্য একজনের হাত ধরে চলে গেছে। ফলে শিশু ফাতেমা (১২) এখন একেবারেই অসহায়। কালুর মা নূরজাহান বলেন, আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আমি নিজে বাদী হয়ে মামলা করতে চাই।