নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেছেন, গত মঙ্গলবার মোবাইল ফোনে একটি কল পান তিনি। অপর প্রান্ত থেকে তার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে বলে জানানো হয়। তখন মাসুদুজ্জামান ওই প্রান্তের ব্যক্তিকে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আসার আহ্বান জানান। তাই মনোনয়ন ঠেকাতে তার বিরুদ্ধে একটি চক্র ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাকে চারিত্রিকভাবে হেনস্থার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ তার। এই কাজের জন্য অন্তত ৩০ লাখ টাকার চুক্তিবদ্ধও হয়েছে চক্রটি।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বিষয়ে তথ্য প্রদান করেন এই বিএনপির নেতা। এ বিষয়ে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিতে তিনি পুলিশ সদর দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে লিখিতও দিয়েছেন। একইসঙ্গে দলের শীর্ষ নেতাদেরও এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান মাসুদুজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, গত মঙ্গলবার মোবাইল ফোনে একটি কল পান তিনি। অপর প্রান্ত থেকে তার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে বলে জানানো হয়। তখন মাসুদুজ্জামান ওই প্রান্তের ব্যক্তিকে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে আসার আহ্বান জানান। ওনারা তখন বলেন, আমাকে ডুবানোর জন্য ওনারা ৩০ লাখ টাকার একটা কন্ট্রাক্ট নিয়েছে। এবং ১৫ লাখ টাকা অলরেডি অ্যাডভান্স নিয়েছে। একটা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা আমাকে দিবে এবং সেই মামলার প্লটও তৈরি করা হয়ে গেছে”, বলেন মাসুদুজ্জামান। তবে, বিএনপির ওই পরিবারের সদস্যরা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত আছেন- এমনটা বিশ্বাস করেন না বলে জানিয়ে মাসুদুজ্জামান বলেন, “কারা এর সঙ্গে জড়িত জানতে চাইলে তারা বিএনপির একটা ঐতিহ্যবাহী পরিবারের কথা বলেন। কিন্তু এইটা আমি বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি, এই পরিবারের কথা ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ডের পেছনে বিএনপির ‘ঐতিহ্যবাহী একটি পরিবার’ জড়িত আছে বলেও জানিয়েছে তারা। এবং এর উদ্দেশ্য মাসুদুজ্জামানকে ‘বাজে চরিত্রের’ মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করা।
মাসুদুজ্জামান আরো বলেন, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে একটা চক্র আছে যারা এই কাজগুলো করে থাকে। আমার প্রশ্ন যে, আমরা কোথায় নেমে আসছি। আমি এই শহরে বড় হয়েছি। আপনারা সকলে আমার সম্পর্কে জানেন। রাজনীতির মাঠ থেকে কেউ যদি এইভাবে সরাতে চান…আমি আশ্চর্য হয়ে যাই! আমি এই ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। এইভাবে আমাকে থামাতে পারবেন না, আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করে যাবো। যাইহোক তারা মামলা করে এক হাজার লোক নিয়ে কেন্দ্রীয় অফিসে গিয়ে আমাকে বহিষ্কারের দাবি তুলবে। তাতে তাদের কাজ হয়ে যাবে। কেননা আমাকে তখন দল থেকে বহিষ্কার করবে এবং ওনারা সামনে চলে আসবে এবং ওনাদের কোনো বাধা আর থাকবে না। আমি চিন্তিত হলাম এবং বাসায় পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করলাম। এবং আমি পুলিশের সদরদপ্তর ও ডিএমপিতে লিখিতভাবে জানালাম। দলের সেন্ট্রাল নেতাদেরও আমি জানিয়েছি।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে এ সময় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু সাউদ মাসু, সাধারন সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি সহ নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্যগণ সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।




