মহান বিজয় দিবসে জাকির খানের পক্ষে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা জিয়ার বিশাল র‌্যালি

13
শহর সংবাদদাতা: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়ার নেতৃত্বে বিশাল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে শহরের মন্ডলপাড়া এলাকা থেকে জাকির খানের পক্ষে এ র‌্যালিটি বের করা হয়।
এর আগে জিয়ার র‌্যালিকে কেন্দ্র করে মন্ডলপাড়া এলাকায় মহানগর স্বেচ্ছসেবক দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নামে। এদিন সকাল থেকেই মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আওতাধীন বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে হাজার হাজার নেতকর্মী ও সমর্থক খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে ডিআইটি এলাকায় জড়ো হয়।
সকলে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হওয়ার পর সেখান থেকে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতা জিয়ার নেতৃত্বে বের করা হয় একটি বিশাল র‌্যালি। র‌্যালিতে থাকা হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা জাতীয় পতাকাসহ রঙ বেরঙয়ের ব্যানার ফ্যাস্টুন ও প্লাকার্ড হাতে নিয়ে ‘আজকের এ দিনে জিয়া তোমায় মনে পড়ে, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া লও লও লও ছালাম’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এ সময় হাজার হাজার নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে গোটা নগরী। পরে র‌্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মহানগর বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে জাকির খানের মূল র‌্যালিতে যোগদান করে।
এর র‌্যালিপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জিয়া বলেন, আজকের এদিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ জাতির সেইসব সূর্য্য সন্তানদের যাদের আত্মত্যাগে আজকে আমরা স্বাধীন জাতি। আমি তাদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
তিনি বলেন, সত্যিই আমি সত্যিই গর্বিত, কারণ আমি এমন একটা দলের রাজনীতির সাথে জড়িত যার প্রতিষ্ঠাতা একজন স্বাধীনতা ঘোষক, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। আমি গর্ববোধ করি, কারণ আমি এমন এক নেতার রাজনীতি করি যিনি হাজার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েও কখনও ওই ফ্যাসিস্টদের কাছে মাথা নত করেন নি। আর এ কারণেই তিনি হয়ে উঠেছেন এ নারায়ণগঞ্জ  বিএনপির সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা।
আমার সেই প্রাণপ্রিয় নেতা জাকির খানের জন্য আপনারা দোয়া করবেন, তিনি যেন সব সময় সুস্থ থাকেন এবং দীর্ঘজীবী হন। কারণ, বর্তমানে তার মত ত্যাগী ও সাহসী নেতা বিএনপিতে খুব প্রয়োজন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহীন আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজন, শাহীন আহমেদ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জনী দেওয়ান, আনোয়ার গাজি, শাহিনুর ইসলাম সুমন, মোজাম্মেল, মো: আলী, পরান মিয়া, মো: ওয়াসিম, মো: সাইফুল প্রমূখ।