মহানগর যুবদলের ইফতার বাণিজ্য!

162
মহানগর যুবদলের ইফতার বাণিজ্য!

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক কমিটির ইফতার মাহফিলে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। খোদ যুবদল নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজির এ অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ইফতার মাহফিলকে সামনে রেখে মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু ও সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজি করছে। তবে, আহবায়ক ও সদস্য সচিবদের দাবি এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত থাকবেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আসার অজুহাতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজি করছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক ও সদস্য সচিব।

আরও জানা যায়, আহবায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকেই বার বার বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্ম দিচ্ছে আহবায়ক কমিটির সদস্যরা। বিশেষ করে আহবায়ক ও সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে কমিটি ও পদ বাণিজ্যসহ ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার তারা ইফতার বাণিজ্যে লিপ্ত হয়েছে বলে দাবি খোদ যুবদল নেতাকর্মীদের।

যুবদলের এক নেতা জানান, করোনা মহামারী কালীণ সময়ে দুই বছর কোনো ইফতার মাহফিল আয়োজন করতে পারে নি কেউ। তবে এবার মহানগর যুবদল যে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে তাকে কেন্দ্র করে সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ সকল নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজি করা হয়েছে। এমনিতেই দল ক্ষমতায় নেই দীর্ঘ সময় ধরে, ফলে নুন আনতে পান্তা ফুরায় আমাদের। তার উপর মন্তু ও সজলের এমন চাঁদাবাজিতে আমরা একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।

কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে এনে নিজ খরচে খাওয়াতে না পারলে চাঁদাবাজি করে খাওয়ানোর কি দরকার। না পারলে ইফতার মাহফিল করার প্রয়োজনটা কি প্রশ্ন রাখেন তিনি।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা কোথাও কোনো চাঁদাবাজি করি নাই। এমনকি কোনো ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও কোনো চাঁদা নেই নি আমরা। নেতাকর্মীরা যে যা পেরেছে, এক হাজার হোক দুই হাজার হোক যা পেরেছে তাই দিয়ে এ ইফতার আয়োজন করছি আমরা।

সদস্য সচিব সজল বলেন, যারা এ অভিযোগ করছে তারা দলের কিনা তা আগে যাচাই করেন। আমরা কোনো চাঁদাবাজি করছি না। এ অভিযোগ মিথ্যা।