মশিউর রহমান রনী জেলা যুবদলের সদস্য সচিব হওয়ায় তৃণমূলে উল্লাস

188
মশিউর রহমান রনী জেলা যুবদলের সদস্য সচিব হওয়ায় তৃণমূলে উল্লাস
নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু গত ১৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের পুরাতন কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহব্বায়ক কমিটি ঘোষনা করেছেন। এই কমিটিতে আহবায়ক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়, গোলাম ফারুক খোকনকে এবং সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক হিসাবে ভিপি কবির হোসেন এবং সদস্য সচিব মনোনীত করা হয় মশিউর রহমান রনীকে।
এই কমিটি ঘোষনার পর থেকেই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে উল্লাস শুরু হয়েছে। জেলা থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে একটা আনন্দের ঢেউ খেলে যাচ্ছে। তৃণমূলের বক্তব্য অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল দীর্ঘদিন নেতৃত্ব সংকটে ছিল, শত শত নেতা থাকা  স্বত্ত্বেও নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল কোন চমক দেখাতে পারেনি। থানা বা ইউনিয়ন কমিটি করার পূর্বে ত্যাগী এবং স্বক্রিয় নেতাদের মুল্যায়ন করা হয়নি। যারা জেলা যুবদলের দায়িত্বে ছিল তাদের কাছের লোকজন দিয়ে ঠান্ডা ঘরে বসে কমিটি ঘোষণা করে হয়েছে, এমন শত শত অভিযোগ পাওয়া যায়।
তৃণমূলের কর্মীরা মনে করছে মশিউর রহমান রনী একজন দক্ষ, পরিশ্রমী এবং তৃণমূল থেকে উঠে আসা সাহসী ছাত্র নেতা। রনীর গুম হওয়া, বারবার কারা নির্যাতন রাজ পথে সক্রিয় থেকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে সে তার যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে তাই এইবার কমিটি দেওয়ার ব্যাপারে আর ঠান্ডা ঘরে বসে থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবেনা ।
মশিউর রহমান রনীর সাথে ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মীরাও সরাসরি যোগাযোগ করার সুযোগ পায়, যাকে বলে কর্মীবান্ধব নেতা, এমন একজন নেতা তৃণমূলের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল যা এবার পূরণ হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।
রনীর কারনেই দীর্ঘদিন ঝিমিয়ে থাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল প্রাণ ফিরে পেয়েছিলো। ফতুল্লা থানা ছাত্রদল সহ বিভিন্ন থানা ইউনিটগুলোর দিকে তাকালেই তার স্পস্ট প্রমাণ পরিলক্ষিত হয় । সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে মশিউর রহমান রনীকে একজন সফল জেলা ছাত্রদল সভাপতি হিসেবে মেনে নিতে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের কোন সংকোচ নেই। নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানা ইউনিট গুলোতে যারা দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন, যাদেরকে ছাত্রদলের কমিটিতে কেন্দ্র ঘোষিত বয়স এবং বিবাহ জটিলতা ও অন্যান্য কারনে যায়গা দিতে পারেনি এটা মশিউর রহমান রনীর ব্যর্থতা বলা যেতে পারে, কিন্ত তৃণমূলের কর্মীরা এইটাকে ব্যর্থতা মনে করতে নারাজ। কারন হিসেবে তারা মনে করেন কেন্দ্র থেকে যে শর্ত জুড়ে দিয়েছে সেখানে রনীর কিছুই করার নেই, সে যদি কেন্দ্রের নিয়ম না মেনে কমিটি দিতো বরং সেটাই হতো অন্যায় । মানুষ ভুল ত্রুটির উর্ধে নয়, তাই মানুষ হিসবে মশিউর রহমান রনীর কিছু ভুল থাকতেই পারে, যারা দির্ঘদিন ছাত্রদলের সাথে কাজ করে বয়স ও অন্যান্য কারনে যোগ্য স্থান পায় নাই তাদেরকে মশিউর রহমান রনী যুবদলে যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারবে সেই সাথে যে সকল ত্যাগী, প্ররিশ্রমী নেতা কর্মী আছে যারা দীর্ঘদিন যুবদলে থেকে কাজ করেও যথাযথ সম্মান পায় নাই তাদেরকেও যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারবে।
তৃণমূলের নেতা কর্মীরা ধারনা করছে মশিউর রহমান রনীর হাত ধরেই ছাত্রদলের ন্যায় যুবদলও এইবার পুনরুজ্জীবিত হবে এবং দেশে গনতন্ত্র ফিরেয়ে আনার জন্য যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারবে। রনীর গুম হওয়া, বার বার কারা নির্যাতন, তৃণমূলের সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের কৌশল, নমনীয় ব্যবহার সবকিছু মিলিয়ে একজন পরিপূর্ণ নেতা হিসেবে পরিণত হয়েছে। যার কারনেই তৃণমূলের কর্মীরা রনীর উপর আস্থা রাখছেন এবং নতুন আশার আলো দেখতে পাচ্ছে ।
এমন একজন কর্মীবান্ধব যুবদল নেতা নারায়ণগঞ্জ বাসীকে উপহার দেওয়ায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকেও তৃণমূলের নেতা কর্মীরা আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছে।