ভয়ে স্কুলে যেতে পারছেনা আলমগীরের মেয়ে

299
নির্মমভাবে খুন হওয়া আলমগীরের সাথে তার মেয়ে

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর এলাকায় নৃশংসভাবে খুন হওয়া আলমগীর হোসেনের পরিবারকে এখনো বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকী-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। এ হুমকি ও ভয়ভীতির কারণে স্কুলে যেতে পারছেনা তার অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে এসব কথা জানান আলমগীরের স্ত্রী মিনু আক্তার।

আজ শনিবার নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাতে একথা জানান তিনি।

মিনু বলেন, খুনীরা আমার চোখের সামনে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে, আমি বারবার মিনতি করার পরও কোনো লাভ হয় নাই। আমার স্বামী যদি অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে এর বিচারের জন্য থানা-পুলিশ, আইন-আদালত আছে। তা না করে ওরা প্রকাশ্য দিবালোকে আমার স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

তিনি বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে, এমপি শামীম ওসমান ভাইয়ের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার স্বামী যদি খারাপ হয়েও থাকে তারপরও কি কোনো মানুষকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা উচিত? তিনি আরও বলেন, এ মামলায় যারা গ্রেফতার হয় নাই তারা অনেকেই জামিনে থেকে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে এবং লোকমাধ্যমে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। সাংবাদিক নামধারী কিছু লোকও আমাকে মিডিয়ার সামনে বেশী কথা বলতে নিষেধ করেছে, ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে। তাছাড়া, এলাকার মানুষও বলে ওরা অনেক প্রভাবশালী, ওদের সাথে পারবি না। এই মামলার কিছুই হবে না, কিছুদিন পরই সব ধামাচাপা পড়ে যাবে। তাহলে কি আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার পাবো না এমন প্রশ্নও করেন তিনি?

তিন মাসে গর্ভবতী মিনু বলেন, অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে ও পেটের বাচ্চাকে নিয়ে ভয়ে ভয়ে আমার সময় কাটে। ভয়ে আমার মেয়ে স্কুলে যেতে চায় না, আমিও যেতে দেই না। আমার মেয়ে পড়তে চায় কিন্তু ভয়ে আমি স্কুলে পাঠাই না। আমার স্বামীর মতো করে মেয়েকে বা আমাকে ওরা যদি খুন করে এই ভয়ে ভয়ে দিন কাটে আমার। আমি ঘর থেকে বের হই না।

মিনু আরও বলেন, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি অপরাধীদের বাঁচাতে উঠে পড়ে লেগেছেন। তারা অপরাধীদের বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন বলে শুনেছি। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচাই চাই, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শামীম ওসমান ভাইয়ের কাছে নির্মম এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই। কি দোষ ছিলো আমার স্বামীর, কি অপরাধ ছিলো যে ওরা এভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করলো?