টাকার বিনিময়ে সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীদের দেয়া হচ্ছে অখ্যাত পত্রিকার কার্ড...

ভুয়া সাংবাদিকে ভরে গেছে নারায়ণগঞ্জ শহর

31
ভুয়া সাংবাদিকে ভরে গেছে নারায়ণগঞ্জ শহর

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

ভুয়া সাংবাদিকে ভরে গেছে নারায়ণগঞ্জ শহর। ওরা আস্তানা গেড়েছে এই শহরের বিভিন্ন স্পটে, মার্কেটে। এদের দাপটে এখন নারায়ণগঞ্জের প্রকৃত সাংবাদিকরা নানা প্রশ্নের মুখোমুখী হচ্ছেন। প্রশ্নের সম্মুখিন হচ্ছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার সম্প্রতি এই প্রশ্নের মুখে পরেছেন যে কেনো এদেরকে দমন করা হচ্ছে না।

পরিস্কার ভাবে বলা হয়েছে এসব নামধারী সাংবাদিকরা কোনো সাংবাদিকই নয়। বরং বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসী, চিছকে চোর এবং মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদেরকে অখ্যাত পত্রিকার কার্ড দিয়ে মাঠে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। এসব পত্রিকার প্রায় সব কয়টিই আবার নারায়ণগঞ্জ থেকে ডিক্লারেশনপ্রাপ্ত নয়। ফলে এসব সাংবাদিক নামধারী অপরাধীদের দাপটে এখন গোটা নারায়ণগঞ্জবাসী একেবারে দিশেহারা হয়ে পরেছে।

বিশেষ করে দেশের অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত এই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা নানা ভাবে ব্লামেইলের শিকার হচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জ দেশের এক নম্বর ধনী জেলাও বটে। আর এই সাংবাদিক নামধারী অপরাধীরা নারায়ণগঞ্জের মাঝারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের টার্গেট করেই মাঠে নেমেছে। এসব অপরাধের হোতারা নিজেদেরকে অখ্যাত পত্রিকার সম্পাদক পরিচয় দিয়ে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পাড়া মহল্লার ছিছকে অপরাধীদেরকে টাকার বিনিময়ে কার্ড দিচ্ছে। এদের একজন শতাধিক কার্ড দিয়ে অপরাধীদেরকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে।

এদিকে একজন কথিত ভুয়া সম্পাদকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগগুলি হলো সে বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা নিচ্ছে এবং যাদেরকে কার্ড দিয়েছে তাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে নিচ্ছে। শহরে অবৈধভাবে যে সকল অটো রিকশা চলাচল করছে তাদের কাছ থেকেও প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে নিচ্ছে এই চিহ্নিত সম্পাদকনামী অপরাধী। প্রায় তিনশ রিকশা তার কার্ড ব্যবহার করে চলাচল করছে। এভাবে প্রতি মাসে সে হাতিয়ে নিচ্ছে তিন লাখ টাকা।

তবে, এ ক্ষেত্রে তার সাথে পুলিশের এক শ্রেনীর সদস্যের সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে ট্রাফিক পুলিশের কিছু সদস্যকে ম্যানেজ করে নিয়েছে এই সাংবাদিক নামধারী অপরাধী। তাই অটো রিকশার মালিকদের কাছ থেকে সে প্রতি মাসে যে তিন লাখ টাকা পায় তার একটি অংশ যায় ওই পুলিশ সদস্যদের পকেটে। এছাড়া সে যাদেরকে কার্ড দিয়েছে তারা বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় নানা রকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জরিত রয়েছে। এসব সন্ত্রাসীরা এলাকায় সব ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত। নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা, ঝুট ব্যাবসা, চাঁদাবাজী এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত এরা। স্থানীয় থানা পুলিশও এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যাবস্থা নেয় না।

কারণ এদের পরিচয় এরা সাংবাদিক। তাই নারায়ণগঞ্জের প্রকৃত সাংবাদিকরা এবং সচেতন মহল মনে করেন, এখনই এই মহান পেশার নামে যারা অপরাধে লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নিতে হবে। জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার এ ব্যাপারে সামান্য খোঁজ নিলেই এই রিপোর্টের সত্যতা পেয়ে যাবেন বলে সকলেই মনে বরেন।