বিএনপি-জামাত জোটে ভাঙ্গন : রাজনীতিতে নয়া মেরুকরন

110
বিএনপি-জামাত জোটে ভাঙ্গন : রাজনীতিতে নয়া মেরুকরন

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্ট মোতাবেক ৩০০ আসনের মাঝে ১২০টি আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। এরই মাঝে দলটি বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিশ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষনাও দিয়েছে এবং এই ঘোষনা দেয়ার পর পরই তারা ১২০টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করার ঘোষনা দেয়। আবার বেশ কয়েকটি পত্রিকা রিপোর্ট করেছে জামায়াত নাকি তিনশ আসনেই প্রার্থী দেবে!

এদিকে, এতো বছর পর জামায়াত কেনো বিএনপির জোট থেকে বেরিয়ে গেলো এ নিয়ে সচেতন মহলে চলছে নানা বিচার-বিশ্লেষন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করে, বিএনপি ও জামায়াদ যদি একতাবদ্ধ থাকে আর দেশে যদি যদি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে এই জোটকে নির্বাচনে হারানো মোটেও সম্ভভ নয়। এই দুটি দল এক সাথে থাকলে আওয়ামী লীগকে জোর করেই জিততে হবে। আর সেই ক্ষেত্রে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারুক বা না পারুক ভারত সহ পশ্চিমা দেশগুলি আওয়ামী লীগকেই সমর্থন দেবে।

তাই আরো অনেক বছর ধরেই এই জোট ভেঙ্গে দেয়ার জন্য বিএনপির উপরে চাঁপ ছিলো বলে দাবি নেতাকর্মীদের। কিন্তু তারপরেও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোনো মতেই চাননি এই জোট ভেঙ্গে যাক। কিন্তু বিগত ষোল বছর ধরে এই জোট রাস্ট্র ক্ষমতার বাহিরে রয়েছে। তাই দেরীতে হলেও বিএনপি জামাত জোট ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি রাজনীতিতে ইতিবাচক হলেও হতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের এই অংশ মনে করেন।

অপরদিকে অনেকে মনে করেন, সরকারের সঙ্গে আতাত করেই বিএনপির জোট ছেড়েছে জামায়াত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন না করলেও অন্য দলগুলিকে নিয়ে নির্বাচন করতে চায় সরকার। আর সেই নির্বাচনে অংশ নেবে জামায়াত, জাতীয় পার্টি এবং চরমোনাই এর ইসলামী আন্দোলন সহ আরো কিছু দল। আর সেই নির্বাচন বিএনপি বিহীন হলে আওয়ামী লীগই রাস্ট্র ক্ষমতায় যাবে। আর বিরোধী দলে বসবে এসব দল। মূলত এই ছক নিয়ে এগুচ্ছে সরকার।

তবে রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। তাই বিএনপির জোট থেকে জামায়াত বেরিয়ে যাওয়ায় দেশের রাজনীতিতে ইতিবাঁচক কিছু ঘটবে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক সচেতন মহল।