স্থানীয় নেতাশুন্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি...

বহিরাগতদের ষড়যন্ত্রে, শেষ পর্যন্ত কাউন্সিলর শকুকেও বহিস্কার করেছেন রিজভী

131

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতি থেকে এক প্রকার বিতারিত হয়ে পরেছেন এই জনপদের স্থানীয় নেতারা। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব থেকে তাদেরকে নানা উসিলায় বিতারিত করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের যারা স্থায়ী বা আদি বাসিন্দা তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্যে হলেন এডভোকেট আবুল কালাম, তার চাচাতো ভাই আতাউর রহমান মুকুল, এডভোকেট আবুল কালামের ছেলে কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির হাই কামান্ড খ্যাত আবদুল মজিদ কমিশনার, তার ভাই হাসান আহম্মেদ, কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু এবং জাকির খান সহ আরো অনেকে।

এক সময়কার নারায়ণগঞ্জ কাপানো এই নেতারা সকলেই এখন হারিয়ে গেছেন। নানা উসিলায় তাদেরকে বিএনপি থেকে বিতারিত করা হয়েছে। সর্বশেষ শওকত হাসেম শকুকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করেছেন রহুল কবীর রিজভী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমানের ঘনিষ্ঠ। কিন্তু বাস্তবতা হলো শকু নিজের জীবন বাঁচাতে কিছুটা কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন বলেই মনে করেন নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।

তিনি যদি এই কৌশল না নিতেন তাহলে এতোদিন তাকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হতো। কারণ চাষাঢ়ায় বোমা হামলা মামলা থেকে এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার সহ বিএনপির সব নেতাকে অব্যাহতি দেয়া হলেও শওকত হাসেম শকুকে অব্যাহতি দেয়া হয়নি। সেই মামলায় শকু আজও হাজিরা দিচ্ছেন। তাই নিজের জীবন বাঁচাতেই তাকে মাঝে মধ্যে সেলিম ওসমান এমপির সাথে দেখা যায় বলে অনেকে মনে করেন। অথচ এই অজুহাত দেখিয়ে তাকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

তাই দলের অনেকে মনে করেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির মূল নেতৃত্বে এখন যারা আছেন তারা সকলেই এই জেলায় বহিরাগত। কেউ মুন্সিগঞ্জ থেকে আবার কেউ কুমিল্লা থেকে এসেছেন। আর তাদের ষড়যন্ত্রের কারনেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিকে নারায়ণগঞ্জের স্থায়ী বাসিন্দাশুন্য করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। যার ফলে এই মুহুর্তে একেবারেই নেতৃত্বশুন্য এবং শক্তিহীন হয়ে পরেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি এখন প্রায় স্থানীয় নেতা শুন্য।