ফ্লপ সমাবেশে কাসেমীর ব্যাক্তিগত অজনপ্রিয়তার প্রমান মিলেছে

190

স্টাফ রিপোর্টার :
নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচটি আসনের মাঝে বিএনপির সবচেয়ে নিশ্চিৎ আসন হলো নারায়ণগঞ্জ-৪। আর এই আসনটিই নাকি বিএনপি ছোট্ট একটি ইসলামী দলকে ছেড়ে দিতে চাইছে। তাও এমন একজনকে যার ব্যাক্তিগত জনপ্রিয়তা বলতে কিছুই নেই। তার নাম মনির হোসাইন কাসেমী। আর এই ব্যাক্তি ফতুল্লার তথা নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে কখনোই সক্রিয় ছিলেন না। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ভোটারদের অনেকের মতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার যে সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন গঠন করা হয়েছে এই সাতটি ইউনিয়নের সব কয়টি বিএনপির ঘাটি হিসাবে পরিচিত। এসব ইউনিয়নের মানুষ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করার পর থেকেই বিএনপির সমর্থক। ফলে এখানে যখনই কোনো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে তখনই বিএনপির প্রার্থীরা জিতেছে। অতীতে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী এম এ সাত্তার, কমান্ডর সিরাজুল ইসলাম এবং মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন জিতেছেন। একটি নির্বাচনে সারাহ বেগম কবরীর সাথে বিএনপির প্রার্থী আলহাজ¦ মোহাম্মদ শাহআলম জিতেছিলেন, যদিও তার ফলাফল পাল্টে দিয়ে তাকে অল্প ভোটে ফেইল দেখানো হয়েছে। আর এমন একটি আসনই এখন অখ্যাত প্রার্থীকে ছেড়ে দিতে চাইছে বিএনপি। খোদ বিএনপির তৃনমূল নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন মনির হোসাইন কাসেমীও গত নির্বাচনের আগের নির্বাচনে বিএনপি জোটের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু শামীম ওসমানের ভয়ে তিনি মাঠে নামতে পারেননি। নির্বাচনের দিন তিনি নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর আর তাকে বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে দেখা যায়নি। কিন্তু গত বছরের ৫ আহষ্টের পর যখন হাজারো ছাত্রজনতা নিজেদের জীবন দিয়ে এই দেশকে দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীন করেছে এর পর থেকে বসন্তের কোকিলের মতো তিনি এসে জুটেছেন প্রার্থী হতে। তাই বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে তাদের দলের প্রার্থী হিসাবে মেনে নিতে রাজী নন।
এদিকে কাসেমীর যে ব্যাক্তিগত কোনো জনপ্রিয়তা নেই তার প্রমান আবারও পাওয়া গেছে গত শনিবার ঈদগা ময়দানের জনসভায়। এই জনসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন এসেছিলেন প্রধান অতিথি হয়ে। জনসভায় চেয়ার বিছানো হয়েছিলো জনগনের উপস্থিতি বেশি দেখানোর জন্য। কিন্তু বিছানো চেয়ারের দশ ভাগের এক ভাগ চেয়ারও ভরেনি। এতে তার জনপ্রিয়তার একটি প্রমান পাওয়া গেছে। বরং আরো অনেকে মনে করেন এই সুপার ফ্লপ জনসভা করার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিএনপির ইমেজের ক্ষতি করা হয়েছে। তাই নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অনেকে মনে করেন মনি হোসাইন কাসেমীকে যদি বিএনপি জোটের প্রার্থী করা হয় তাহলে আসনটি হারাবে বিএনপি। আর এই ক্ষেত্রে আলহাজ¦ মোহাম্মদ শাহআলম যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন তাহলে তিনি অথবা জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মাওলানা আবদুল জব্বার জিতে যাবেন। তাই আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির জোট শেষ পর্যন্ত কি করেন সেদিকেই তাকিয়ে আছেন এই আসনের সাধারন মানুষ। কারন শনিবারের সুপার ফ্লপ সমাবেশের মধ্য দিয়ে প্রমান হয়েছে মনির হোসাইন কাসেমীর ব্যাক্তিগত জনপ্রিয়তা শুন্যের কোঠায়।