নির্বাচন করবো এটাই আমার চূড়ান্ত কথা : শাহআলম

73

স্টাফ রিপোর্টার :
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ¦ মোহাম্মদ শাহআলম এবার নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নির্বাচন করার চূড়ান্ত স্বিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গতকাল এ বিষয়ে জানতে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বিএনপির রাজনীতি করি, তাই আশা করি দল আমার জনপ্রিয়তা যাচাই করে আমাকেই দেবে দলের মনোনয়ন। তার কাছে প্রশ্ন ছিলো দল যদি আপনাকে মনোনয়ন না দিয়ে জোট প্রার্থী মনির হোসাইন কাসেমীকে মনোনয়ন দেয় তাহলে কি করবেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন তখন কি করবো সেটা তখনই জানতে পারবেন। তবে এইটুকু বলতে পারি এবারের নির্বাচনে আমার নিজের আসন থেকে নির্বাচন করবো এটাই আমার চূড়ান্ত কথা। জনগনের দাবির প্রেক্ষিতে আমি নির্বাচনের মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকবো। আশা করি জনগন আমাকেই ভোট দিয়ে তাদের সেবা করার সুযোগ করে দেবেন। আমি আমার নিজের এলাকার সাতটি ইউনিয়নের সমস্যার কথা মহান জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে চাই এবং পিছিয়ে পড়া এলাকাকে ব্যাপক উন্নয়ন করে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তুলতে চাই। জনগন আমার সাথে আছে, তাই এবার এই আসন থেকে আমিই নির্বাচিত হবো ইনশাআল্লাহ। তাই এখনো আমি দৃঢ়ভাবে আশা করি দল এবার আমাকেই মনোনয়ন দেবে এবং ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে আমিই জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ। আর দল যদি আমাকে মনোনয়ন নাও দেয় তারপরও আমি এলাকাবাসীর সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী স্বিদ্ধান্ত নেবো। আমি আরো পরিস্কার করে বলতে চাই যদি বেঁচে থাকি তাহলে এবারের নির্বাচনে আমি অংশগ্রহন করবো ইনশাআল্লাহ। যাই ঘটুক কোনো শক্তি আমাকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে পারবে না।
এদিকে নির্বাচন পশ্নে তার এই দৃঢ় অবস্থানের কারনে শেষ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা পরিস্কার হচ্ছে। কারন একদিন আগে পর্যন্তÍ আসনটিতে মনির হোসাইন কাসেমীকেই বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের মনোনয়ন দেয়ার স্বিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা জানা গেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্যের সাথে এই প্রতিনিধির আলাপ হলে তিনি আসনটিতে বিএনপির জোট সঙ্গী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা মনির হোসাইন কাসেমীকেই মনোনয়ন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন। আর মনির হোসাইন কাসেমী তার দলীয় প্রতিক খেজুর গাছ নিয়েই নির্বাচন করবেন।
অপরদিকে মনির হোসাইন কাসেমীর ঘনিষ্ট সূত্রগুলি জানিয়েছে বিএনপির কেন্দ্র থেকে তাকে সিগন্যাল দেয়ার কারনেই তিনি মাঠে রয়েছেন। মূলত তাকে দেয়া হবে বলেই এই আসন বাদে নারায়ণগঞ্জ জেলার বাকী চারটি আসনে মনোনয়ন ঘোষনা করা হয়েছে। এই আসনটিতে বিএনপির কারো নাম ঘোষনা করা হয়নি। তাই তিনি নির্বাচন করার সর্বাত্বক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
এদিকে কাসেমী যদি মনোনয়ন পান এবং তিনি যদি খেজুর গাছ প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করেন তাহলে এই আসনে বিএনপির প্রতিক ধানের শীষ থাকছে না। তখন জামায়াতে ইসলামীর দাড়িপাল্লার সাথে লড়াই হবে খেজুর গাছের। আর এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী হলেন মাওলানা আবদুল জব্বার। এই আবদুল জব্বার এরই মাঝে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের জনগনের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। তাই এই আসনে বিএনপির প্রার্থী থাকলেও মূল লড়াই হতো জব্বারের সাথেই। তাই যেহেতু এখানে জোটের প্রার্থী হিসাবে মনির হোসাইন কাসেমী থাকছেন সেহেতু আবদুল জব্বার অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যাবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।
অপরদিকে এই আসনে বিএনপির হেভীওয়েট প্রার্থী মোহাম্মদ শাহআল দলীয় মনোনয়ন না পেলে এবং আসনটিতে ধানের শীষ প্রতিক না থাকলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন বলে পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে শাহআলম একজন জনপ্রিয় প্রার্থী হিসাবেই আবির্ভূত হবেন। তিনিও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে তুলবেন। সেই ক্ষেত্রে তিনি যেকেনো প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করবেন। ফলে আপাতত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে এই সমিকরনই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তাই আসনটিতে এরই মাঝে এই তিন নেতার মাঝে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। শেষ পর্যন্ত শাহআলম যদি স্বতন্ত্র নির্বাচনও করেন তাহলে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহআলমের সাথে জামায়াতের জব্বারের। তাই এই আসনে এবারের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছাড়াও খেলা জমে উঠতে পারে বলে বলে পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে। ##