নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:
ঈদের পর থেকে ফতুল্লা থানা এলাকায় জোর তৎপরতার প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই তৎপরতা জোরদার করার কথা জানিয়েছে দুই দলের নেতা কর্মীরা। এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফ উল্লাহ বাদল বলেন, জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মাননীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান আবারও নির্বাচন করবেন। আগামী নির্বাচনের জন্য ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ভাবে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন ফতুল্লা থানায় এই মুহুর্তে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে সাংগঠনিক শক্তিতে বলিয়ায় থানা আওয়ামী লীগ। এই থানার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি গ্রামে এবং পাড়া মহল্লায় আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সক্রিয় রয়েছেন। মাননীয় সংসদ সদস্য বিগত দশ বছরে যে উন্নয়ন করেছেন তাতে এই থানার কোথাও কোনো উন্নয়ন কাজ বাকী নেই। মাননীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।
এছাড়া সারা দেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছেন তাতে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতি হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল এবং ঢাকায় মেট্রো রেল সহ সারা দেশে শত শত ব্রীজ নির্মান করেছেন। সড়ক পথের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এখন ঘর থেকে বের হলেই চোখে পরে সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন। তাই এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবারও দেশের মানুষ নৌকা প্রতীকেই ভোট দেবে বলে আমরা মনে করি।
একই সঙ্গে আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই ফতুল্লার কোথাও বিএনপি-জামায়াতকে কোনো রকম বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না। আমাদের দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। ঈদের পর আমরা আরো জোরালো ভাবে মাঠে নামবে ইনশাআল্লাহ।
এদিকে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শওকত আলী চেয়ারম্যান, সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান চেয়ারম্যান, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ১ নং সদস্য আবু মোহাম্মদ শরীফুল হক, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফরিদ আহম্মেদ লিটন এবং থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মান্নান এবং থানা আওয়ামী লীগের অপর সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন। তাদের প্রত্যেকের সাথে এই প্রতিনিধির আলাপ হয়। তখন তারা সকলেই একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন।
চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, আমরা প্রস্তুত। নির্বাচন এগিয়ে এসেছে, আমরা সর্বাত্বক প্রস্তুতি নিচ্ছি। তিনি আরো বলেন নারায়ণগঞ্জের থানা গুলির মাঝে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগই সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন। বিএনপি সহ অন্য দলগুলিকে আমরা সাংগঠনিক ভাবে মোকাবেলা করবো ইনশাআল্লাহ।
অপরদিকে ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বদলে গেছে। আওয়ামী লীগ চাইলেও আর রাতের ভোট করতে পারবে না বা বিনা ভোটে নির্বাচিত হতে পারবে না। আমরা আন্দোলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। তবে আমরা কোনো রকম সংঘাতের রাজনীতি চাই না। আমরা চাই একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে। আমরা মনে করি জনগনকে সম্পৃক্ত কওে একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই এ দেশের গণমানুষের অধিকার আদায় করা সম্ভব।
