নিকৃষ্ট শাসকদের তালিকায় শেখ হাসিনা এক নাম্বার – এড. সাখাওয়াত

161
নিকৃষ্ট শাসকদের তালিকায় শেখ হাসিনা এক নাম্বার - এড. সাখাওয়াত

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, কয়েকদিন আগে, বিশ্বের নিকৃষ্ট শাসকদের সম্পর্কে পর্যালোচনা করে বিশ্বসংস্থাগুলো বিশ্বের বিভিন্ন নেতাদের র‌্যাংকিং করেছে। সেখানে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী, পৃথিবীর নিকৃষ্ট শাসকদের মধ্যে ১ নাম্বার হয়েছে। এছাড়াও বর্তমান অবৈধ সরকার পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আরও নানা উপাধিতে ভুষিত হচ্ছে। এটা হওয়ার কারণ হলো, এই হাসিনা এ দেশে গণতন্ত্র হত্যা করেছে, ভোট চুরি করে এদেশের মানুষের গণতন্ত্রকে গুড়িয়ে দিয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে প্রেরণের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। গতকাল সোমবার (০৯ অক্টোবর) নগরীর মিশনপাড়া এলাকায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গত ১৫ বছর যাবৎ এদেশের মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে না। দিনের ভোট রাতে হয় এবং ২০১৪ সনে নির্বাচনের আগেই ১৫৪ জন এমপি নির্বাচিত হয়ে যায়, ২০১৮ সনে এই সরকার আগের দিন ভোটবাক্স পরে পরের দিন রেজাল্ট ঘোষণা করেছে। সুতরাং এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হতে পারে না। তাই এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ক্ষমতা ছেড়ে অবিলম্বে আপনাদের চলে যেতে হবে এবং এই দেশে ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল

তিনি বলেন, বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত যে অবস্থা তা সকলেই জানে। তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড বলেছে, বাংলদেশে বেগম জিয়ার আর চিকিৎসা নাই। সুতরাং তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়, তাকে যদি সুচিকিৎসা দিতে হয়, তাহলে অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে প্রেরণ করতে হবে। এ দাবিতেই আজকের এই সমাবেশে।

খালেদা জিয়া জনপ্রিয়তার কারণে শেখ হাসিনার চক্ষুশূল হয়েছেন উল্লেখ করে এড. সাখাওয়াত বলেন, বেগম খালেদা জিয়া, এই বাংলাদেশের মানুষের অবিসংবাদিত নেত্রী। উনি ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আপোষহীন নেত্রীর উপাধি পেয়েছেন। এই দেশে আপোষহীন নেতৃত্ব দিয়ে এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং তত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উনার অপরাধ হলো, বেগম খালেদা জিয়া জনগনের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এ জনপ্রিয়তার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর চক্ষুশূল হয়েছেন বেগম জিয়া। আর তাই আদালতে কাধে বন্দুক রেখে এই সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে। এই সাজা দেশের মানুষ মানে না, এই দেশের মানুষ অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়, এই দেশের মানুষ অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ করতে চায়। যদি এই সরকার এ দাবি মেনে না নেয়, তাহলে এক দফা দাবি আদায়ের মাধ্যমে এই সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে ইনশ্আাল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে রেখে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না এবং এই দেশে কোনো নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো বাংলাদেশের জনগনের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে বলেছে, এই সরকার ভোট চোর, এই সরকার লুটেরা-দুর্নীতিবাজ। আজকের এই সরকারের দুর্ঘন্ধ, পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রে হাজার হাজার কোটি টাকা ধরা পড়ছে। এই সরকার পতন হলে দেখতে পারবেন, এই সরকার বিদেশে কত লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে। কাজেই এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না এবং আগামী দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। তাই অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম আহবায়ক এড. জাকির হোসেন, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ মো. রেজা রিপন, ডা. মজিবুর রহমান প্রমুখ।