মূলত কেন্দ্রীয় মহাসচিবের ব্যর্থতার কারনেই বাড়ছে নেতায় নেতায় কোন্দল...

না.গঞ্জ বিএনপির কোনো খবর রাখেন না মির্জা ফখরুল

264
না.গঞ্জ বিএনপির কোনো খবর রাখেন না মির্জা ফখরুল

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে আসলে কি হচ্ছে এ ব্যাপারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোনো খবর রাখেন না বলেই জেলায় বিএনপি নেতৃবৃন্দের মাঝে বাড়ছে কোন্দল। পরিস্থিতির এখন এতোটাই অবনতি ঘটেছে যে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে।

উপর্যূপরি বেশ কয়েকটি ছুরিকাঘাত করার পরেও তিনি বেঁচে গেছেন। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু এই অবস্থা হলো কেন? এর পেছনে কারন কি? এমন প্রশ্ন এখন নারায়ণগঞ্জ শহরসহ পুরো জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের।

জানা গেছে, বিগত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হয়। আর তাকে বহিস্কারের পর থেকেই সারা জেলায় বিএনপি থেকে তৈমুর সমর্থকদেরকে মাইনাস করা শুরু হয়। তাদেরকে মাইনাস করে করা হয় বিভিন্ন থানা বিএনপির কমিটি।

এছাড়া সাবেক এমপি অধ্যাপক রেজাউল করিম, মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আতাউর রহমান আঙ্গুর, দীপু ভুইয়া এবং আজহারুল ইসলাম মান্নান সমর্থকদেরও মাইনাস করা হয়। এতে সারা জেলায় বিএনপির ভেতর শুরু হয় তীব্র কোন্দল। সিদ্ধিরগঞ্জেও একতরফা কমিটি করতে চাইলে বাধার মুখে সেই কমিটি করতে পারেননি মামুন মাহমুদ।

দলীয় সুত্রে জানা গেছে, এড. তৈমুরকে বহিস্কার করার পর এই জেলায় বিএনপির রাজনীতিতে আরো একজনের উত্থান ঘটে। তিনি হলেন নজরুল ইসলাম আজাদ। এই নজরুল ইসলাম আজাদও বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য উঠেপরে লেগেছেন বলে জানা যায়। আড়াইহাজারে তিনি মামুন মাহমুদের সহায়তায় আতাউর রহমান আঙ্গুর এবং মাহমুদুর রহমান সুমনের নেতৃত্বাধীন নেতাকর্মীদের মাইনাস করে কমিটি করেন। আর তাদের এসব কাজে সায় দেন খোদ দলটির মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ফলে জেলায় দিনে দিনে কোন্দল এতোটাই চরম আকার ধারন করছে যে শেষ পর্যন্ত এই কোন্দলের কারনে নেতাকর্মীদের জীবন নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। তাই দলের অনেক নেতাকর্মী মনে করে, মূলত দলের মহাসচিবের ব্যর্থতার কারনেই নারায়ণগঞ্জে বিএনপি ব্যাপক জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও সাংগঠনিক ভাবে একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে।