দেশের আশি শতাংশ মানুষ বিএনপির পাশে রয়েছে : গিয়াস, দেশে-বিদেশে আস্থা হারিয়ে দিশেহারা সরকার : সাখাওয়াৎ...

না.গঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপিতে ডু অর ডাই আন্দোলনের প্রস্তুতি

56
না.গঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপিতে ডু অর ডাই আন্দোলনের প্রস্তুতি

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার পাশাপাশি একটি তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি। তারা এবার ডু অর ডাই আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। যদিও বিএনপির নেতাকর্মীদের এরই মাঝে নতুন করে হয়রানী করতে শুরু করেছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসেন খান জানিয়েছেন, সম্প্রতি বিএনপির যে সকল নেতাকর্মী হায়ইকোর্ট থেকে জামিনে থেকে নিন্ম আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন তাদের কাউকেই জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠাচ্ছে আদালত। তার ধারনা আইন মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে এভাবে গায়েবী মামলায় নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু এতে তারা মোটেও বিচলিত নন। বরং নেতাকর্মীরা এই সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্বক আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তিনি আরো জানান, এই জেলায় মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মামলা মোকদ্দমায় জর্জরিত হলেও তারা আন্দোলনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কারণ তারা ভালো করেই জানে, এ সরকারের পায়ের তলঅ থেকে মাটি সরে গেছে। সরকার দেশ-বিদেশে এখন তীব্রভাবে সমালোচিত হচ্ছে। গতকাল এ বিষয়ে জানতে চাইল এডভোকেট সাখাওয়াত এসব কথা বলেন। এছাড়া গতকাল এ বিষয়ে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ হয়। সামনে নির্বাচন, আর আসন্ন এই নির্বাচনকে ঘিরে তারা কি করবেন জানতে চাইলে তারা তাদের মতামত ব্যাক্ত করেন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আরো পনেরো বছর আগে গলা টিপে হত্যা করার পর এবারই প্রথম বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে সজাগ ও সোচ্চার হয়ে উঠেছে। দেশের প্রায় আশি শতাংশ মানুষ বিএনপির পাশে রয়েছে। পাশাপাশি এবার বিশ্ব বিবেকও জেগে উঠেছে। তাই আমাদের দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে বার বার দেশের মানুষের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে। আর এই অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার একটাই পথ, আর সেটা হলো নির্বাচন কালিন সময়ে তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন দেশের মানুষতো বটেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সরকারকে সব দলের অংশগ্রহনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য জোরালো ভাবে বলছে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপত করছে না। সরকার বিদেশীদের নানা রকম মিথ্যা কথা বলে ভুলানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই, বিদেশীরা কি করবে সেটা বলা না গেলেও এদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ আর কোনো রাতের ভোট বা কারচুপির নির্বাচন চায় না এবং তারা সেটা হতেও দেবে না। তাই আমরা এ ব্যাপারে আন্দোলনের সর্বাত্বক প্রস্ততি নিচ্ছি। থানায় থানায় আমাদের কমিটিগুলি প্রস্তত হচ্ছে। একেবারে ওয়ার্ড থেকে থানা পর্যন্ত কমিটিগুলি ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সরকার জনগনের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে না দিলে এবার যে তুমুল আন্দোলন গড়ে উঠবে এতে কারোই কোনো সন্দেহ নেই। এবার আমরা আমাদের ভোটের অধিকার আদায় করার পরেই ঘরে ফিরে যাবো ইনশাআল্লাহ।