নারায়ণগঞ্জে বিআরটিএর চেক বিতরণ: ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ ছাড়া মিলবে না লাইসেন্স

10

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চালকদের দক্ষতার ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৬০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ ছাড়া এখন থেকে কাউকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে না। যাদের হাতে গাড়ির স্টিয়ারিং থাকবে, তাদের অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। এছাড়া দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে এখন দেশীয় কোম্পানির মাধ্যমে লাইসেন্স ইস্যু করা হচ্ছে।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় নারায়ণগঞ্জের জেলা শিল্পকলা একাডেমির থিয়েটার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক এবং পেশাদার গাড়িচালকদের মাঝে নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘পূর্বে বিআরটিএ’র লাইসেন্স ইস্যুর কাজ ভারতের মাদ্রাজের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হতো। গত জুলাই মাসে তাদের সাথে চুক্তি শেষ হয়েছে। আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা বিবেচনায় নতুন করে দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানিকে এই দায়িত্ব দিয়েছি। যেকোনো মূল্যে আমরা সড়ককে সুরক্ষিত করতে বদ্ধপরিকর।’’

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রায়হান কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় চালকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের ওপর। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘‘একজন হেল্পারের অভিজ্ঞতা থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা না থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অভিজ্ঞতা এবং প্রশিক্ষণ—উভয়ের সমন্বয় ঘটাতে হবে। দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চালক নিশ্চিত করা গেলে দুর্ঘটনার হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।’’

অনুষ্ঠানে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০টি পরিবারের মাঝে বিআরটিএ’র ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে মোট ১ কোটি ২৮ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে নিহতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের ৩ লাখ টাকা এবং সাধারণ আহতদের ১ লাখ টাকা করে প্রদান করা হয়। পাশাপাশি পেশাদার চালকদের মাঝে নতুন ইউনিফর্ম বিতরণ করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. সোহেল রানা, বিআরটিএ নারায়ণগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহবুবুর রহমান, মোটরযান পরিদর্শক মো. সাইফুল কবীর, জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।