নানা কারনে আশাবাদী হয়ে উঠছে বিএনপির নেতাকর্মীরা

70
নানা কারনে আশাবাদী হয়ে উঠছে বিএনপির নেতাকর্মীরা

নারায়ণগঞ্জ ফার্স্ট নিউজ:

সরকারের সঙ্গে এবার মার্কিন যুক্তরাস্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলির টানাপোড়েনের বিষয়টি এখন একেবারেই ওপেন সিক্রেট। গত দুই দিনে বেশ কয়েকটি ঘটনায় অনেক কিছুই পরিস্কার হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাস্ট্র সরকার তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায় বলেই র‌্যাবের উপর স্যাংশান দিয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, যে সকল দেশ স্যাংশান দেবে সেই সকল দেশ থেকে কোনো কিছু কিনবে না বাংলাদেশ। এছাড়া যুক্তরাস্ট্র এবং যুক্তরাজ্য সহ কয়েকটি দেশের রাস্ট্রদূতদের আর অতিরিক্ত কোনো প্রোটকল না দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সরকার। তাই দেশের জাতীয় সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে এসব খবর এখন ফলাও করে প্রচার হচ্ছে।

এদিকে, এবার মার্কিন যুক্তরাস্ট্র সহ পশ্চিমা শক্তিগুলো বাংলাদেশের উপর তীক্ষ্ম নজরধারী অব্যাহত রেখেছে। আর পশ্চিমাদের উপরই বাংলাদেশের অর্থনীতি পূরো মাত্রায় নির্ভরশীল। অবাধ ও সুষ্ঠু না হলে যুক্তরাস্ট্র সহ তার মিত্ররা যে এবারের নির্বাচন কোনো মতেই মেনে নেবে না এটা জানে সরকার নিজেও।

বিশেষ করে পশ্চিমা জোটের অন্যতম শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই শেষ পর্যন্ত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে সরকার এগিয়ে যেতে বাধ্য হবে বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতাদের অনেকে। আর যদি সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন না করে আগের মতোই মনগড়া নির্বাচন করে ক্ষমতা আকড়ে থাকতে চায় তাহলে বিএনপি কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে। সেই ক্ষেত্রে এই নেতারা মাঠের আন্দোলনের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

এরই মাঝে সারা দেশে বিএনপি তার সাংগঠনিক শক্তির প্রমান দিয়েছে। আগামী দিনেও সারা দেশে সব জেলায় জনসভা করবে বিএনপি। এরপর তারা রোড মার্চ, লংমার্চ এবং চলোচলো ঢাকা চলো কর্মসূচি ঘোষনা করবে। তাই এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার জন্য সর্বাত্বক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এদিকে, এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, আমরা এরই মাঝে আন্দোলনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করেছি। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এ দেশের মানুষকে মুক্ত করার আন্দোলন চলছে। সরকার দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে না দিলে আগামী দিনে বিএনপি কঠোর আন্দোলনের ঘোষনা দিতে বাধ্য হবে বলে আমরা মনে করি। কেন্দ্র থেকে যে কর্মসূচিই ঘোষনা করবে সেই কর্মসূচিই আমরা পালন করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। আশা করি এবারের আন্দোলনে দেশের জনগন মাঠে নেমে আসবে এবং দেশে একটি অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচনের পথ তৈরী হবে। আমাদের উপর জেল-জুলুম চলছে আর আমরা এসব মেনে নিয়েই দেশের আপামর জনসাধারনের অধিকার আদায় করার জন্য সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জুলুম নির্যাতন করে সরকার এ দেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। খুব শিগগিরই এ দেশ থেকে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটবে ইনশাআল্লাহ।