দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ

285
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ

আবু বকর সিদ্দিক হামিম:

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের অবস্থা খুবই অসহায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত দু’বছর যাবৎ করোনার ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার সাথে লড়াই করতে গিয়ে ব্যাপক হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। তার মধ্যদিয়ে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি মানুষের জীবনকে ক্রমশ দুর্বিষহ করে তুলছে।

সরেজমিনে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, চাল-ডাল, তেল-চিনি, সবজি-ফল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্য ও খাদ্য সামগ্রীর দাম চড়া। এর কারণ জানতে চাইলে, দোকানদাররা জানান, ২দিন পর রোজা শুর ‍হচ্ছে তাই ধনী-গরিব সকলেই কেনাকাটা করছে। একযোগে সকলে ক্রয় করার কারণে পণ্যের তুলনায় মজুদ কম থাকায় কিছুটা দাম বেড়েছে।

এদিকে, এ বিষয়ে মাসদাইর এলাকার বাসিন্দা শামীম পাটোয়ারী মন্তব্য করেন,”করোনার কারণে গত দুই বছরে ব্যবসায় যথেষ্ট লস হয়েছে।তার মধ্য দিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম যেভাবে বেড়ে যাচ্ছে আমাদের অবস্থা একেবারেই না খেয়ে থাকার মত হচ্ছে।”

একই বিষয়ে লালপুর এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি এক চাকরিজীবী বলেন,”করোনার কারণে আমাদের কোম্পানির যথেষ্ট লস হয়েছে এবং এর ফলে তারা অনেক কর্মীকে ছাঁটাই করে দিয়েছে। কোম্পানি যাদেরকে রেখেছে তাদের বেতন প্রায় বিশ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিয়েছে আগে যেখানে মাসে ত্রিশ হাজার টাকা বেতন পেতাম এখন মাসে মাত্র চব্বিশ হাজার টাকা বেতন পাই। তার মধ্য থেকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে কোনরকম বেঁচে আছি। দ্রব্যমূল্যের দাম তো কখনো কমতে দেখলাম না শুধু বাড়তেই আছে। কিন্তু এখন আর আগের মতো বেতন বাড়ে না। আগে অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দে জীবনযাপন করতে পারতাম কিন্তু এখন অনেক কষ্ট হচ্ছে।”

গুঞ্জন রয়েছে রমজানকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীদের চক্র আবার দাম বাড়ানোর অপচেষ্টার খেলায় তৎপর হয়ে উঠেছে। বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের এখনই সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া উচিত। প্রশাসনের কোনো অসৎ কর্মকর্তা যদি অসাধু এ চক্রের সাথে জড়িত থাকে তাহলে প্রশাসনের উচিত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া। প্রশাসন যদি এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করে এবং এর ফলে অসাধু সিন্ডিকেট চক্র যদি এই অপচেষ্টায় সফল হয় তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে, জনজীবনে ব্যাপক দুর্দশা নেমে আসবে।